আজ উইলিয়াম গেইলস নেই, নেই লর্ড হার্ডিঞ্জ।
কিন্তু রয়ে গেছে তাদের অমর কীর্তি।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক, আদালত বার্তা ঃ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ উদ্বোধনের সময় এর প্রধান প্রকৌশলী স্যার রবার্ট উইলিয়াম গেইলস আবেগঘন কণ্ঠে বলেছিলেন- ‘যে সেতু নির্মাণ করে দিয়ে গেলাম, উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এ সেতু চিরযৌবনা হয়ে থাকবে। ’ আজ উইলিয়াম গেইলস নেই, নেই লর্ড হার্ডিঞ্জ।
কিন্তু রয়ে গেছে তাদের অমর কীর্তি।
মানুষ মরে যায়, বেঁচে থাকেন শুধু কীর্তিমানরা।
সময়ও হারিয়ে যায় মহাকালের স্রোতে। শুধু কিছু কিছু মুহুর্ত সামনে এসে দাঁড়ায়, ডেকে নিয়ে যায় শত বছর এমনকি সহস্র বছর আগে।
নিজের অস্তিত্বকে জানান দেয়, মনে করিয়ে দেয় ‘ছিলাম’ ‘আছি’ ‘থাকবো’।
রবীন্দ্রনাথ লিখে গেছেন,
‘আজি হতে শত বর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি
আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে
আজি হতে শত বর্ষ পরে।
…
আজিকার কোন রক্তরাগ
অনুরাগে সিক্ত করি
পারিব কি পাঠাইতে তোমাদের তরে
আজি হতে শত বর্ষ পরে…’
হার্ডিঞ্জ যেন গেইলের লেখা শত বর্ষ আগের এক কবিতা। এ যেন শত বর্ষ আগের সেই অনুরাগের রক্তরাগ। শত বর্ষ পরের প্রজন্মের জন্য ভালোবাসার এক মহান উপহার। শত অনুরাগ ও আনন্দ অভিবাদন দিয়ে গড়া এক প্রজন্ম সেতু। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পার হওয়ার সময় অনুভব করছিলাম রবি ঠাকুরের সেই কবিতা আর কল্পনায় ভেসে আসছিল শত বর্ষ আগের সেই মুহুর্তগুলো।(হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া প্রান্ত)