বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। এমন একজন তারকা, যাঁকে বাংলাদেশের আপামোর জনগণ ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে, তিনি নাকি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন একটা সময়!
সময়টা ভাল যাচ্ছে না শাকিবের। একে তো আইপিএলে দল পাননি। তার উপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও তাঁর বনিবনায় সমস্যা চলছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলতে যাননি শাকিব। সেই থেকেই বোর্ড-শাকিবের মনোমালিন্যের শুরু। এর পর শাকিব আচমকা জানিয়ে দেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যেতে চান না। বিরোধ তখন চরমে।
বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন এর পরই শাকিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। শাকিববে তিনি বোঝান। তার পর শাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে রাজি হন। এরই মধ্যে জানা যায়, যে কোনও কারণেই হোক হতাশা ও অবসাদে ভুগছেন শাকিব। মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার জন্যই শাকিব নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলেন।
শারীরিক সমস্যা দৃশ্যমান। মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা সবার পক্ষে আন্দাজ করা সম্ভব নয়। তাই অনেক সময় মানসিক সমস্যার কথা জানিয়ে কোনও ক্ষেত্রেই ছুটি নেওয়া যায় না। শাকিবেরও ঠিক এই সমস্যাই হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, শাকিবের মানসিক সমস্যা ছিল বেশ গুরুতর। এতটাই গুরুতর যে শাকিব নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন।
ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানিয়েছেন শাকিবের সমস্যার কথা। তিনি শাকিবের ক্রিকেট গুরু। শাকিব যে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন সেটা তিনিই জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম channel24bd-কে। এই নিয়ে বেশ হইচই শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন বায়ো বাবলে খেলছেন ক্রিকেটাররা। প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যে। শাকিবেরও কি বায়ো বাবলে দীর্ঘদিন থাকার ফলেই এমন সমস্যা হয়েছিল! শাকিব বিসিবির কাছে ৬ মাস ছুটির আবেদন করেছিলেন। তবে বিসিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর শাকিব ছুটি বাতিল করে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন, ‘আইপিএলের বায়ো-বাবল থেকে ফেরার পর শাকিবকে দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছিল। শাকিব তখন মানসিকভাবে একেবারে প্রস্তুত ছিল না। দু’দিনের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর নিজেদের বাড়িতে চলে যেতে পারবে। শাকিব ও মুস্তাফিজুরকে সেটাই বলা হয়েছিল। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় শাকিব আত্মহত্যার কথা ভেবেছিল।’
সংবাদ সূত্র : https://bengali.news18.com/