1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পুরান ঢাকার বড় কাটরা  ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির। দুর্নীতির অভিযোগে ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার সরকারি প্রটোকলে বড় পরিবর্তন: উচ্চপদস্থ নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের বিতর্কিত বিধান বাতিল সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট না করে, যেভাবে টাকা আয় করবেন নিজের পারসোনালিটি নিজেকে ধরে রাখতে হবে তার জন্য দুইটা জিনিস মনে রাখবেন একটা মাএ সন্তান, খুব যত্ন করে বড় করেছি —কক্সবাজারে নিখোঁজ  অরিএর  বাবা।  ফেসবুকে মনিটাইজেশন চালু করবেন কীভাবে, জানুন ধাপে ধাপে। মধ্যবিত্তদের জীবন চক্র আত্মত্যাগে গড়া এক অদৃশ্য যুদ্ধ! জীবন একটি চলমান যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয় টিকে থাকার জন্য

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ধারণা নতুন কিছু নয়

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার
ধারণা নতুন কিছু নয়

ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তা :২১ মে ২০২৩।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও কঠিন অস্ত্র হয়ে উঠেছে
_______________

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার
ধারণা নতুন কিছু নয়।

প্রথম নিষেধাজ্ঞা চালু হয়ছিল ৪৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, যখন এথেনিয়ান সাম্রাজ্য মেগারার ব্যবসায়ীদের তার বাজার থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।‌ এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী নগর রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল।

তবে ২০ শতকের আগে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যবহার তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি।

লিগ অফ নেশনস, এবং পরে জাতিসংঘ, ২০ শতকের গোড়ার দিকে দেশ ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষেত্রে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

চাপ প্রয়োগ‌ই উদ্দশ্য
_______________

নির্দিষ্ট বৈদেশিক নীতি মেনে চলার জন্য চাপ প্রয়োগের উদ্দশ্যে প্রায়‌ই বিভিন্ন দেশগুলোর উপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে।

একটি দেশের বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সীমিত করার লক্ষ্যে অন্য একটি শক্তিশালী দেশ নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা আরোপ করে।

দেশভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা
__________________

অতীতে কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া এবং ভিয়েতনাম এমন সব দেশের উপর দেশভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

দেশ ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তা নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশের অর্থনীতি এবং মানবিক কল্যাণে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কফি আনান তার ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে দেশ ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞাগুললোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় বেসামরিক গোষ্ঠীগুলি। পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তৃতীয় রাষ্ট্রগুলির উপর এবং এর জন্য এটি ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷

লক্ষ্যযুক্ত নিষেধাজ্ঞা
________________

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ৯/১১ এর পর দেশভিত্তিক নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

আপত্তিকর আচরণের জন্য দায়ী বলে বিশ্বাস করা নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে সাধারণ জনগণ এবং তৃতীয় দেশগুলোর জামানতীয় ক্ষতি হ্রাস করার জন্য লক্ষ্যযুক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

চিলির পিনোচেট মামলা এবং বসনিয়ার যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের বেআইনী কাজে লিপ্ত থাকার কারণে ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আইনে লক্ষ্যবস্তু নিষেধাজ্ঞার জন্ম হয়েছিল।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পররাষ্ট্রনীতির অংশ হয়ে উঠেছে
_____________________

তর্কাতীতভাবে বৈদেশিক নীতির হাতিয়ার হিসেবে নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা বাড়িয়েছে।

এটি আর এখন কোন গোপন বিষয় নয় যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পররাষ্ট্রনীতির একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না হলে এবং সামরিক হস্তক্ষেপকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ (বা অন্যথায় অগ্রহণযোগ্য) বলে মনে করা হলে এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রগুলোর আচরণকে প্রভাবিত করতে বৃহৎদেশগুলো তাদের নীতিগত স্বার্থকে এগিয়ে নিতে নিয়মিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার উপর নির্ভর করছে।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো সাধারণ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবন এবং ব্যবসার উপর প্রত্যক্ষ এবং মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

গ্রুপ সেভেনে যৌথ সংকল্প প্রদর্শন
_________________

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মে ১৯, ২০২৩ তারিখে জানিয়েছে, গ্রুপ সেভেনে
(G7) অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সমন্বয় করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে অবৈধ যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

এই পদক্ষেপগুলি G7 নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত নতুন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারে এবং ইউক্রেনে তার ক্রমবর্ধমান নৃশংসতার জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করার জন্য যৌথ সংকল্প প্রদর্শন করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞাগুলি অমান্য করে এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলিকে ফাঁকি দিয়ে যারা ইউক্রেন যুদ্ধে ক্রেমলিনকে সহায়তা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অংশীদারদের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ
________________

এই কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০০টির বেশি সত্ত্বা, ব্যক্তি, জাহাজ এবং বিমানের উপর অবরুদ্ধ সম্পত্তি হিসেবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বা চিহ্নিত করছে৷

ট্রেজারি বিভাগ কর্তৃক আরোপিত আরো নিষেধাজ্ঞা এবং বাণিজ্য বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত অতিরিক্ত রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সাথে থাকার জন্য যতদিন সময় লাগবে ততদিন যুক্তরাষ্ট্র তার পাশে থাকবে বলে ঘোষণা করেছে।

রাশিয়া বসে নেই
______________

রাশিয়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

বিবিসি নিউজ বাংলা আজ ( মে ২১, ২০২৩) জানিয়েছে, “পশ্চিমা বিশ্ব যখন মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে তখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির বিরুদ্ধে রাশিয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তবে আইসিসি বলছে যে তারা এতে ‘বিচলিত’ নয়।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির পক্ষ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির দু’মাস পর এখন মস্কো এই আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান আইনজীবী কারিম খানের বিরুদ্ধে একই ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা নিলো।

মস্কো এখন মি. খানকে “ওয়ান্টেড” তালিকাভুক্ত করেছে।”

চীনের উপর নিষেধাজ্ঞা
________________

সাম্প্রতিক গ্রুপ সেভেন ( G7) সম্মেলনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষ্টেট, ট্রেজারি এবং বাণিজ্য দফতর মূল ভূখণ্ডের চীনের তিনটি এবং হংকংয়ের পাঁচটি কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞার আরোপ করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন মে ১৯, ২০২৩ তারিখে বলেছেন নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে বোঝানো হলো যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘যতদিন সময় লাগবে ইউক্রেনের সাথে ততদিন থাকবে’।

চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
__________________

অপরদিকে, চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া শুক্রবার (মে ১৯, ২০২৩) জানিয়েছে যে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের ডি ফ্যাক্টো রাষ্ট্রদূত সিয়াও বি-খিমের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাকে এবং পরিবারের সদস্যদের মূল ভূখণ্ড, হংকং এবং ম্যাকাওতে প্রবেশে নিষেধ করেছে।

শিল-পাটায় ঘষাঘষি
_________________

‘শিল-পাটায় ঘষাঘষি, মরিচের জান শেষ’—এ প্রবাদের মর্মার্থ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন গরীব দেশের নিরীহ মানুষ ।

পরাশক্তিগুলো গরীব দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে কাছে টানার জন্য ব্যাপক কূটনৈতিক চাল চালছে। কিন্তু এই কর্মকাণ্ড ব্যর্থ হলে যে পরাশক্তিগুলো নিজ বলয়ে নেয়ার জন্য নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

গরীব দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার দায় এসে যদি
নিরীহ মানুষের ওপর এসে পরে তাহলেই বিপত্তি।

তাই ‘শিল আর পাটার মাঝখানে যদি জনগণ নিষ্পেষিত হয় তার দায়িত্ব কে নেবে সেটি এখন ভাবিয়ে তুলেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট