এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তা :২০ মে ২০২৩।
শস্য-শ্যামলা সুজলা সফলা আমাদের এই বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর এই দেশে কোন ফসল রোপন করা হলে যত্ন না নিলে ও প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠে আমাদের এই দেশে গাছপালা। বর্তমানে বাংলাদেশে মানুষ অনুভব করতে পারছে প্রকৃতিগতভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে প্রচণ্ড দাবদাহে ফলে জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আর এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রকৃতির প্রতি নজর দিতে হবে রোপণ করতে হবে গাছপালা গড়ে তুলতে হবে সবুজায়ন। আর এই গাছপালাই পারে একমাত্র আমাদেরকে রক্ষা করতে প্রচন্ড দাবদাহ হতে। বাংলাদেশের বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধুমাস বলা হয়। এই দুই মাসে প্রচুর ফল ফলাদি পাওয়া যায়। আর এই ফল-ফলাদির বীজ আমরা পেয়ে থাকি এই মাসগুলোতে। কমবেশি বাংলাদেশের সকল মানুষই ফল-ফলাদি খেয়ে থাকেন তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হিসাবে
আপনার যারা আম, লিচু, কাঠাল, জাম মৌসুমি ফল খাবেন, খাবার পর তার বীজ/আঠি/বিচি/দানা/seeds গুলোকে ফেলে দেবেন না। সেগুলো ভালো করে পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে একটি কাগজে মুড়ে রেখে দিন। যদি কখনও কোথাও গাড়িতে করে দূরে ঘুরতে যান তবে সেই বীজগুলো অবশ্যই রাস্তার ধারের অনুর্বর ফাঁকা জমিতে একে একে ছিটিয়ে দিন।
আসছে বর্ষার মৌসুমে সেই বীজ থেকে নতুন চারাগাছ জন্ম নিবে। যদি এদের মধ্যে একটা গাছও বেচেঁ থাকে তবে সেটাই হবে এই পৃথিবীকে আপনার দেওয়া সবচেয়ে বড় উপহার। ফলের গাছ শুধু পরিবেশকে অক্সিজেন দিয়ে সতেজ রাখে না, ফল খাবার লোভে অনেক পাখি আসে গাছে গাছে।
যার ফলে পরিবেশের হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য রক্ষা হয়।
তাছাড়া ও এই গাছ হতে যাঁরা ফল খাবে বা ব্যাবহার করবে আপনার জন্য থাকবে নেকি ও সওয়াব।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ সচেতন মূলক ভাবে যদি এমনিভাবে এই বর্ষা মৌসুমে গাছের বীজ রোপন করেন তাহলে এই বীজ থেকে গাছ হবে আর গাছ থেকে পাব আমরা জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন। পাব গাছ থেকে কাট। তার সাথে পাবো প্রাকৃতিক ভারসাম্য। তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এই বৃক্ষরোপণ অভিযান।