উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা দিয়ে প্রণীত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তা :২৯ মার্চ ২০২৩।
আজ বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ রায় দেন বলে রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম জানান।
রায়ের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ৩৩ ধারায় ইউএনওদের একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া ছিল। হাইকোর্ট এটা বাতিল করেছেন। এর ফলে উপজেলায় ইউএনওদের ক্ষমতা কমল। ইউএনওকে উপজেলা পরিষদের অধীনে কাজ করতে হবে।
উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকার পরেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়ায় এই বিধান ছিল সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
উপজেলা পরিষদের আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। আর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাই পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্য সম্পাদন করবেন।
২০২১ সালের ১৫ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ক্ষমতা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান এই রিট দায়ের করেন।
এর আগে উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর ধারা ১৩ (ক) ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ ছাড়া ইউএনওদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদসংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মেও রুল জারি করা হয়। শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে আজ রায় দিলেন আদালত।
রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।