যদি তাপমাত্রা এ অবস্থায় নেমে আসে তাহলে সেটিকে শৈত্যপ্রবাহ বলা যায়। কারণ, শীতকালে ২.৬ থেকে শুরু করে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেলে সেটা শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে পড়ে।
গত ৩০ বছরের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদরা দেখেছেন, ডিসেম্বর মাসে সাধারণত একটি থেকে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা থাকে
আরেক জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল মান্নানের মতে, ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ১৬ তারিখের পর কোনো একটা সময় থেকে শীতকালের শুরু। তবে এই বৃষ্টি চলে গিয়ে তাপমাত্রা কমে যে শীত অনুভূত হবে সেটা প্রকৃত অর্থে শীতকাল বলে মনে করেন তিনি।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি যখন আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে বায়ুমণ্ডল পুরোপুরি শুষ্ক হয়ে যাবে তখন শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তবে এমন পরিস্থিতি হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদ মান্নান।
তিনি বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে একটা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে সেটি পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, ডিসেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ মাসে দেশের নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ডিসেম্বর মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলেও দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানানো হয়।