তথ্যপ্রযুক্তি
কমবয়সীদের গ্রাস করছে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া, মুক্তির উপায়
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ২অক্টোবর ২০২৪
কমবয়সীদের গ্রাস করছে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া, মুক্তির উপায়
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোন বা ডিজিটাল আসক্তি সবার মধ্যেই কমবেশি দেখা যায়। কখনও কাজ, তো কখনও সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলিং, কখনও বা সিনেমা দেখা, কখনও আবার গেম খেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আসক্ত থাকে।
যার ফলে শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ফলে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইসের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে অল্প বয়সীদের আক্রান্ত করছে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য গুগলের সতর্কতা
বদলে যাবে প্রযুক্তি, একদশকের মধ্যে বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন
স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে যে ৫ ক্ষতি হয়
আসলে ফোনের অত্যধিক ব্যবহার এবং এর ওপর সম্পূর্ণ রূপে নির্ভরশীলতার কারণে মানুষ শিশু-কিশোরদের এই রোগ হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কের সমস্যা বাড়ছে। আজকাল ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার সমস্ত লক্ষণ তরুণ সম্প্রদায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। যার কারণে তাদের নিত্য দিনের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার ফলে লেখাপড়া আর কাজ করতেও ভালো লাগে না।
একাগ্রতা এবং ভুলে যাওয়ার সমস্যা বেড়ছে
============================
সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, তরুণ সম্প্রদায়ের মস্তিষ্ক এবং মানসিকতার উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে স্মার্টফোন। নিয়মিত ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা একটানা মোবাইল ব্যবহারের কারণে মনঃসংযোগের অভাব হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে ভুলে যাওয়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, স্ক্রিন টাইম দিনে তিন ঘণ্টার বেশি হলে তা আসক্তি হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেকের স্ক্রিন টাইম ১২-১৫ ঘণ্টা, যা বেশ বিপজ্জনক।
রাতে বেশি সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করলে তা ঘুমের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, নীল আলো মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখে এবং ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমায়।
ডিজিটাল ডিমেনশিয়া কী?
================
তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লবের ফলেস্মার্টফোন ছাড়া বোধহয় কারো একমুহূর্তও চলে না। ফোনের অত্যধিক ব্যবহার এবং তার উপর নির্ভরশীলতার কারণে মানুষ ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার শিকার হচ্ছেন। সেই কারণে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হচ্ছে।
বাঁচার উপায়ঃ
=========
ঘুমোনোর ১ ঘণ্টা আগে ডিজিটাল ডিটক্সের নিয়ম মেনে চলা উচিত। স্ক্রিন টাইম নির্ধারণের পাশাপাশি বিরতিও নিতে হবে। একজনকে ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বেরিয়ে বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। আর সেই সঙ্গে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত এবং স্ক্রিন টাইম ৩ ঘণ্টারও কম রাখা উচিত