কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক চিত্র পালটে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তা :২৭ জুলাই ২০২৩।
একসময় সৌরবিদ্যুতই ছিল কুতুবদিয়ার মানুষের ভরসা। দিনে ৪-৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ পেত মানুষ। অবশেষে সেই দিনগুলোর অবসান হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী পরিকল্পনার কারণে আজ বিচ্ছিন্ন এই জনপদ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে কুতুবদিয়ায়।
আগে যেখানে দিনে ৬ ঘন্টা বিদ্যুত থাকতো এখন সেই এলাকার মানুষের বাড়িতে এখন ফ্রিজ আসছে, সংরক্ষন করে করে খেতে পারছেন সুস্বাদু সামুদ্রিক মাছ, শিশুরা অবশেষে আইসক্রিমের স্বাদ নিতে পারছে, হাসপাতালে চালু হয়েছে অপারেশন থিয়েটার। কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক চিত্র পালটে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। শিল কারখানা চালু হওয়ার সকল সুবিধাই এখন আছে কক্সবাজারের এই উপজেলায়। শুধু আইসক্রিম বিক্রি করেই অনেকে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে ফেলেছেন।
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ স্লোগানকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে উপজেলার ৩ হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
১৯৮০ সালে জেনারেটরের মাধ্যমে প্রায় ৬০০ গ্রাহককে সান্ধ্যকালীন কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হত। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন সময় স্বল্প আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করত পিডিবি।
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী থেকে মগনামা ঘাট পর্যন্ত ৩৩ কেভি রিভার ক্রসিংসহ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশে ফাইবার অপটিকসহ ৫ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সাবমেরিন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ দিতে কুতুবদিয়ায় নির্মিত হয়েছে দুই কিলোমিটার বিতরণ লাইন।