কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নে ঘাটারচরে ২৫ নভেম্বর ঘাটারচর গনহত্যা দিবস পারন।
১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় গণহত্যা চালায়। একযোগে হত্যা করে ৫৭ জন মানুষকে। পুড়িয়ে দেয় বহু বাড়িঘর। এই দিনটিকে ঘাটারচরবাসী পালন করে ঘাটারচর গণহত্যা দিবস হিসেবে।
মুক্তিযুদ্ধে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকার প্রতিরোধ যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তারানগর ঘাটারচর এলাকার সেই সমস্ত শহীদের
গণহত্যার স্মরণে বৃহস্পতিবার বিকেলে ১নং ঘাটারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন, এডভোকেট মোঃ এনামুল হক। সভাপতি , ৭১’র শহীদ পরিবার স্মৃতি সংসদ।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সফল মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি (ঢাকা-২) সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সভাপতি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ। হাজী আলতাফ হোসেন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ। আব্দুল জলিল ভূইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন। হাজী সফিউল আজম খান বারকু,সিনিয়র সহ-সভাপতি, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ। হাজী হাবিবুর রহমান হাবিব, চেয়ারম্যান, শাক্তা ইউনিয়ন।
অতিথিবৃন্দ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এ.কে.এম রফিকুল ইসলাম হিল্টন,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ। হাজী আবু সিদ্দিক, সাবেক সদস্য, ডাঃ ইখতিয়ার আহমেদ শাওন,শোখ শাহাদাৎ শাহ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজির হোসেন,সাবেক সদস্য কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ। বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল রহমান খান, সভাপতি তারানাগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। হাজী মোঃ মোক্তার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক তারানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, সহ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কেরানীগঞ্জবাসীর ত্যাগ ও ভূমিকা অনেক। কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বপ্রথম গেরিলা যুদ্ধ শুরু হয়। প্রতিরোধ যুদ্ধে কেরানীগঞ্জবাসীর অনেক অবদান ও ত্যাগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন মানুষ কষ্টে আছে বর্তমান পরিস্থিতি ও বিশ্ব সংকটের কারণে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সংকটে পড়েছে দেশ। সাময়িক কষ্ট হলেও মানুষ আপনাদের ক্ষমতায় বসাবে না। বিএনপিকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা বিদেশিদের কাছে দৈন্য দিয়ে অশুভ ফয়দা হাসিলের জন্য ত্যপরতা চালাচ্ছে। দেশ যখন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে তা তাঁদের ভালো লাগছেনা।তারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এবং দেশকে আবারও দরিদ্র রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ধারে রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে তাহলেই সম্ভব হবে খুদা মুক্ত, দরিদ্র মুক্ত উন্নয়শীল বাংলাদেশ।
বিশেষ অতিথীর বক্তব্যে বীর মুক্তিযুদ্ধা ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন, বর্তমান সময়ের অনেক ছেলে মেয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জানে না। তাদের জন্য কাজ করা উচিত। অন্তত কেরানীগঞ্জের প্রতিটি স্কুলে যদি প্রামান্য চিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয় তাতে ছেলে মেয়েরা সঠিক ইতিহাস জানবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক্তার ইখতিয়ার আহমেদ শাওন বলেন মুক্তি যুদ্ধে যে সমস্ত শহিদরা তাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের কে স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছেন তাদের কে স্মরন করেতে হবে প্রতিটি কাজে।রাজাকার আলবদের দোসরদের কে রাষ্ট্রীয় ভাবে, সমাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। এবং তাদের থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে যাতে তারা যেন দেশ বিরোধী কোন কাজ করতে না পারে।
আনুষ্ঠানের সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন স্বাধীনতার ৫১বছর অতিবাহিত হলেও আজও রাষ্ট্রিয় ভাবে শাহীদের তালিকা তৈরি হয়নি এবং শহিদ পরিবারগন রাষ্ট্রেয় ভাবে মর্যাদা পাননি।শহিদের যাতে রাষ্ট্রিয় ভাবে তালিকা করা হয় এবং রাষ্ট্রিয় ভাবে যাতে তাদের মর্যাদা প্রদান করা হয় তার জন্য শহিদ পরিবারের পক্ষ থোকে তিনি দাবি জানান।
তারানগর ঘাটারচরে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান।দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়