1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
নির্বাচনের সময় মন্ত্রণালয়গুলো ইসির হাতে থাকা উচিত: সাখাওয়াত রাজধানীতে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শনিবার আবহাওয়া যেমন থাকবে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং পূজায় ৩৫ অপ্রীতিকর ঘটনায় ১১ মামলা, ২৪ জিডি, ১৭ গ্রেপ্তার: আইজিপি আজ বিশ্ব ডিম দিবস সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে। পূজা ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না: আইজিপি এসি একটানা কতক্ষণ চালানো যায়? হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ।  রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ১০ প্রস্তাব। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন

জাতীয় সংসদের পরপরই উপজেলা নির্বাচন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় সংসদের পরপরই উপজেলা নির্বাচন
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :২৪ নভেম্বর ২০২৩।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি দেশের প্রায় ৫০০ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজও চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদগুলোর মেয়াদ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা। আগামী মার্চ মাসে এ নির্বাচন শুরু করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনার কাজও প্রায় শেষ। সংসদের পরপরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে ইসিকে। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক মাস পর এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তার আগেরবার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর।

এবারও এর কাছাকাছি সময় বেছে নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ধারণা, সংসদ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিলে কমিশন ২০১৪ সালের মতোই দ্রুত উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ বিষয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সংসদের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সরঞ্জামও কেনা হয়েছে। কারণ সংসদ নির্বাচনের পরপরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই ১৯ জানুয়ারি আগের নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয়টি ধাপে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক মাস পর ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন হয় পাঁচ ধাপে ওই বছরের ১০ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত।

উপজেলা পরিষদ আইন অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। সেই হিসাবে উপজেলা নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে চলতি বছরের নভেম্বরের শুরু থেকেই।

এদিকে সময় ঘনিয়ে এলেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনও তেমন তৎপর নন। অনেক উপজেলা চেয়ারম্যান সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানদের একটি অংশ এ বিষয়ে আগ্রহী। ইতোমধ্যে প্রায় ১২ জন চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

ইতোমধ্যে ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোহাদ্দেছ হোসেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আনছারী, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূঁইয়া, দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

দিনাজপুরে চারটি আসন থেকে পাঁচটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। এদের চারজন চান আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক, আর একজন চান জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক। তারা পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন।

নৌকা প্রতীকপ্রত্যাশী চার চেয়ারম্যান হলেন চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তারিকুল ইসলাম তারিক, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আতিউর রহমান, বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম এবং কাহারোল উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক সরকার। আর লাঙ্গল প্রতীকপ্রত্যাশী হলেন বোচাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জুলফিকার হোসেন।

কুড়িগ্রামে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ছয়জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে পদ ছাড়বেন তারা। এ ছয়জন উপজেলা চেয়ারম্যান হচ্ছেনÑ ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরন্নবী চৌধুরী খোকন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী, উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু, নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান এবং রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো।

এদের মধ্যে আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘পদত্যাগপত্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ইঙ্গিত পেলেই চূড়ান্তভাবে পদত্যাগপত্র স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা দেব। আমি আশাবাদী জনপ্রিয়তা বিবেচনায় দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’

আবার চেয়ারম্যানদের একাংশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। জনসমর্থন বাড়াতে তারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যাচ্ছেন, এলাকার মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন, বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

দলীয় মনোনয়ন দেওয়া যাবে তিন পদেই

নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, গতবারের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। পরিষদের পদে থেকেই এ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়া যাবে। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যানএ তিনটি পদেই

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!