1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
জামিন দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের। বৃহত্তর বেঞ্চের রায় [2019] ALR (HCD) Online 42 পেজে প্রকাশ হয়েছে। - আদালত বার্তা
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার সহজ উপায় যেসব কাগজপত্র না থাকলে হারাতে পারেন আপনার জমির মালিকানা!সতর্ক করল নতুন ভূমি আইন বাংলাদেশিদের জন্য শ্রীলঙ্কায় প্রবেশে নতুন নিয়ম, ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর রোববার থেকে নতুন সূচিতে চলবে মেট্রোরেল জামিন হওয়ার পর এক ক্লিকেই আদেশ চলে যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করনীয়  এমপি-মন্ত্রীরা পালাননি, প্রমাণ ১২০ জনের গ্রেপ্তার উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলি; জনমনে আতঙ্ক মেট্রোরেল ১ ও ৫ উত্তর লাইনের কাজ দ্রুত শুরু করতে জাইকার আহ্বান মুঘল আমলে ঢাকার প্রবেশদ্বারে নির্মত দুর্গের ইতিহাস

জামিন দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের। বৃহত্তর বেঞ্চের রায় [2019] ALR (HCD) Online 42 পেজে প্রকাশ হয়েছে।

এডভোকেট পুলক হালদার
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮৪৭ বার পড়া হয়েছে

জামিন দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের। বৃহত্তর বেঞ্চের রায় [2019] ALR (HCD) Online 42 পেজে প্রকাশ হয়েছে।
অর্থ পাঁচারের মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম. ওয়াহিদুল হক ও কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামালকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। তবে বিশেষ আইনের মামলায় জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত।
এ সংক্রান্ত রায়ে বলা হয়েছে, বিশেষ আইনে দায়েরকৃত মামলার এজাহার, বাদী-বিবাদী পক্ষের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিসূমহ যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে জামিন আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে সঠিকভাবে বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। কারণ এ ধরনের মামলার সঙ্গে অর্থ পাঁচারের মত গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ থাকে। আদালত বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এখতিয়ার রয়েছে জামিন দেওয়ার। তবে এক্ষেত্রে মামলার গুনাগুন দেখে অত্যন্ত সতর্কভাবে জামিন দিতে হবে। ওই দুই কর্মকর্তার জামিন বাতিল প্রশ্নে জারিকৃত রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় দেয়। এ রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেন বেঞ্চের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।
তিনি দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশেষ আইনের মামলায় বিচার পূর্ব এবং বিচার পরবর্তী অবস্থায় আসামিরা কোন আদালতে জামিন চাইবে সে বিষয়ে আইনে সুনিদ্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত। এটা থাকলে আসামির জামিন চাওয়া ও মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হবে না। এজন্য আপনাদের উচিত বিশেষ আইন প্রণয়নকালে আদালতের এই মনোভাব সরকারকে অবহিত করা।
এদিকে, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রুল যথাযথ ঘোষণা ব্যাংকের ওই দুই কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি, মানি লন্ড্রারিং আইন ও ক্রিমিনাল অ্যামেন্ডমেন্ট ল’ অ্যাক্ট এক সঙ্গে পর্যালোচনা করলে এটা পরিস্কার যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এখতিয়ার বর্হিভূতভাবে ওই জামিন দিয়েছে।
আশরাফুল কামাল বলেন, দুর্নীতি অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থাকে আজ কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ সোচ্চার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সার্বভৌম সংসদও বেশকিছু আইন প্রণয়ন করেছে। তাই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সরকারকে যেমন কঠোর হতে হবে, তেমনি আদালতকেও সতর্ক থাকতে হবে। এই সতর্কবার্তা দিতে হবে যে, সবাই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এবং সবাই মিলে দুর্নীতিকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযেগে দুদকের করা মামলায় ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তাফা কামালকে জামিন দেয়। ওই জামিন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করে হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি।
[2019] ALR (HCD) Online 42

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট