‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’–এর নাম পাল্টে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ করা হলো
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :
০৮ আগস্ট ২০২৩
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’–এর নাম পাল্টে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ করা হলো
অননুমোদিতভাবে শাখা বা এজেন্ট নিয়োগ করে অভিবাসন ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করলে শাস্তির বিধান রেখে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন (সংশোধন), ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’–এর নাম পরিবর্তন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি জানান, বৈঠকে ‘বাংলাদেশ অ্যালাইড হেলথ শিক্ষাবোর্ড আইন-২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
অভিবাসন আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অভিবাসন ব্যবসায় আন-অফিশিয়ালি একটি গ্রুপ জড়িত থাকে। যাদের কোনো কাঠামোর মধ্যে আনা যাচ্ছিল না। তাঁদের ম্যানেজ কিংবা রেগুলেট করাও যাচ্ছিল না। এখন তাঁদের সাব-এজেন্ট কিংবা প্রতিনিধি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হবে। এতে তাঁরা কোনো না কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির আওতায় আসবেন। তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট বিধির আওতায় চিহ্নিত এবং তাঁরা নিবন্ধিত থাকবেন। তাঁদের এখন রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কে নিয়ে আসা হবে। যদি কেউ অননুমোদিতভাবে শাখা বা এজেন্ট নিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা করেন, তখন তাঁদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া বিদ্যমান আইনে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু নতুন আইনে বিশ্বাসযোগ্য মাত্রায় অভিযোগ থাকলে লাইসেন্স বাতিল নয়, সাময়িক স্থগিত করা যাবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন করে থাকি। এরই মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা শুরু করেছি। সেই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে, আমরা ১২ ডিসেম্বর যে “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” উদ্যাপন করতাম সেই নাম পরিবর্তন করে একই তারিখে “স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস” উদ্যাপন করব। মন্ত্রিসভা সেটি অনুমোদন দিয়েছে।’
২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। ডিজিটাল বাংলাদেশের ইশতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালন করে সরকার। পরের বছর দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস করা হয়। আওয়ামী লীগ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্লোগান নিয়ে। সে কারণে দিবসটির নাম আবারও পরিবর্তন করা হলো।
এমবিবিএস, বিডিএস, নার্সিং, ফার্মেসির বাইরের স্বাস্থ্যশিক্ষা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে ‘বাংলাদেশ অ্যালাইড হেলথ শিক্ষাবোর্ড আইন-২০২৩ ’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যশিক্ষার কাঠামোতে এমবিবিএস, বিডিএস, নার্সিং, ফার্মেসি-এই জাতীয় শিক্ষার সুনির্দিষ্ট কাঠামো আছে। এগুলো পরিবীক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এর বাইরে কিছু শিক্ষা থাকে যার নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা পদ্ধতি, পাঠ্যসূচির ভালো কাঠামো নেই। এ কারণে আইনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে ম্যাটস, আইএইচটির মতো তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা স্বাস্থ্য খাতে কাজ করছে। অ্যালাইড হেলথ ব্যবস্থায় যখন কেউ সেবা নিতে চাইবে, তখন ফি আদায় করে তারা আয় করতে পারবে। এই আইনের অধীনে একটি বোর্ড থাকবে, সেই বোর্ড এমবিবিএস, বিডিএস, নার্সিং, মিডওয়াইফারি, ফার্মেসি শিক্ষার বাইরে অন্য সহযোগী চিকিৎসা শিক্ষা ও অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা কার্যক্রম মনিটর করবে। সেই দায়িত্ব দিয়ে এই বোর্ড গঠন করা হবে। এই বোর্ডটির একজন চেয়ারম্যান থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ ও বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিন এর পরিচালক থাকবেন। সরকারি মেডিকেল কলেজের একজন প্রিন্সিপাল ও সরকারি ডেন্টাল কলেজের একজন প্রিন্সিপালও থাকবেন। বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে একজন ও হেলথ টেকনোলজি থেকেও একজন থাকবেন। এভাবে ১৬ ক্যাটাগরির লোকজন বোর্ডে থাকবেন। বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন প্রধান নির্বাহী। আর রেজিস্ট্রার বলে একটি পদ থাকবে, যিনি প্রশাসনিক কাজের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকার অনুমোদিত নির্দিষ্ট একটি অর্গানোগ্রাম থাকবে। সে অনুযায়ী নিয়োগ ও পদোন্নতি কার্যক্রম নিতে পারবেন