ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যর উপর হামলা: কেরানীগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য আবুল কালামের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাভার মডেল থানাধীন ভাকুর্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাহেরচর গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবার।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বেলা এগারো টায় রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আবুল কালাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
আবুল কালামর বলেন, সাভার মডেল থানার ভাকুর্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাহেরচর গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র আব্দুল রহিম (৫০), তারা মিয়ার পুত্র রাকিব হোসেন (২৫), মৃত আব্দুল আলীর পুত্র সমন আলী (৫৫), তারা মিয়া (৪৬), সুরুজ মিয়া (৪৮)। তারা জমি জাল পর্চা করে আমার জমি দখলে চেষ্টা করে। অতঃপর আমি বিষয়টি জানতে পারলে বিজ্ঞ চীফ জুটিসিয়াল ম্যাজিস্ট্টে আদালতে সাভার আমলি আদালতে সিআর মামলা ৩১৫/২২ দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই কে নির্দেশ দেন। পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদনে দন্ডবিধি ৪২০/৪৪, ৪৬৬, ৪৬৮, ৪৭১, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭, ৫০৬, ১০৯ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এবং আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত হইতে আসামিরা জামিন প্রাপ্ত হইয়া আমকে আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় ও প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।
তখন আমি সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। এমতোবস্থায় গত ১৫ জুলাই সকালে বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে জমি মাপ ঝোপ করিতে যাই, সেখানেও তারা জমি মাপের কাজে বাধাগ্রস্থ করে। অতঃপর দুপুর একটার দিকে আমি বাসায় যাওয়া পথে উল্লেখিতসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ সন্ত্রাসীরা দেশি অস্ত্র হাতে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায় আমাকে হত্যা উদ্দেশে আব্দুল রহিম তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে পার দেয়। আমি আমকে রক্ষা করার করার জন্য বা’হাত দিয়ে ঠেকাইলে বা’হাতের কুইন উপর ৬ ইঞ্চি ভেতরে মারাত্মাক জখম হই। এরপরও নানাভাবে রাকিব হোসেন তার হাতে থাকা কোদাল আছাড়ি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। সমন আলী, তারা মিয়া, সুরুজ মিয়াসহ বাকি আসামিরা বাঁশ, কাঠ লাঠি দিয়ে আমার মাথা, দুই পাসহ পুরো শরীরে আঘাত করতে থাকে। এতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তখন স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে আমার স্ত্রীকে সংবাদ দিয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইমাজেন্সেীতে ভর্তি করেন। এর প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৮ জুলাই সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরও বলেন, এসময় আমার চাচা খালেক মিয়া আমাকে বাঁচাতে আসলে তার উপরও হামলা চালান আসামিরা। এ ঘটনায় আমি এবং পরিবার সন্ত্রাসীদের ভয়ে দিনযাপন করছি। তারা যেকোন মূহুর্তে আবারও আমাদের উপর হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি দাবি করছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল রহিম ও সুরুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী নাজমা নাহার লায়লি, চাচা খালেক মিয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।