দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
সুষ্ঠু ভোটে একটওু ছাড় দেওয়া চলবে না।
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসায় উত্তাপের পারদ বেড়ে চলছে। রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের মধ্যে শুধু নয় নির্বাচন কমিশনেও (ইসি) বিরাজ করছে উত্তেজনা।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করে দেখাতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। এতে যদি বড় কোনও ধরনের ব্যত্যয় ঘটে তার দায় গিয়ে পড়বে তাদের ওপরেই। এ বিষয় নিয়ে শুরু থেকেই সচেতন বলে নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার পর থেকেই তারা সমাজের নানাস্তরের মানুষের সঙ্গে ভালো, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কথাবার্তা বলে আসছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল করিৎকর্মা ব্যক্তি। তার কমিশনের অধীনে এ পর্যন্ত বেশ কিছু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছোট-খাট দু-একটি বিচ্যুতি ছাড়া বড় কোনও অভিযোগ ওঠেনি।
নির্বাচন কমিশন বুধবার নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালার (আলোচনা ও পর্যালোচনা) আয়োজন করেছিল। এতে অংশ নেন সংবাদমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ছাড়া নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে অনেকে নির্বাচনকে আস্থায় আনার ব্যাপারে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন। কেউ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, এটা মোটা দাগের প্রশ্ন।
বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাহলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহণ কিভাবে সম্ভব হবে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সংবিধানে বাইরে এক পাও হাঁটবে না। ফলে দেশের বড় দুটি দলের এই পৃথক পথে হাঁটার সমাধান কি?
এখানে বলতে হয় যে নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো আগামী জাতীয় নির্বাচন পক্ষপাতহীনভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু করে দেখানো। এতে একটু ছাড় দেওয়া চলবে না। নির্বাচনকে বিতর্কের জালে কেউ যাতে আটকাতে না পারে তার জন্য নির্বাচন কমিশনকে যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা থাকলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনসহ সবাই একমত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব শক্তিসহ দেশের ভেতরের গণতন্ত্রমনা প্রত্যেকটি মানুষ দেশের গণতন্ত্রকে আরো পাকাপোক্ত করতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া জরুরি বলে মনে করেন। ভালো ভোট, ভালো নির্বাচন, দেশের গণতন্ত্রকে পোক্ত করে তোলে। একটিপূর্ণ নির্বাচন, গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল তাল লক্ষণ বুঝিয়ে দেয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সমালোচনা করা হচ্ছে যে নির্বাচন কমিশনার নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছে। বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, এই নির্বাচন কমিশনার আগে থেকেই মাথা নত করে সরকারের সঙ্গে আপস করে ফেলেছে একটি দলকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য। এটা মোটেও সত্য নয়। আমরা অতটা কাওয়ার্ড নই। অতটা নৈতিকতা বিবর্জিত হইনি এখনো।
সিইসি যথাথই বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার কাজটি করা হচ্ছে পরিকল্পনাভিত্তিতে। এই পরিকল্পনাকারীদের নিবৃত্ত হওয়া দরকার।