নির্বাচন নিয়ে কথা বলা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয়: যুক্তরাষ্ট্র
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :১১ জুলাই, ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং-এ বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি’
স্থানীয় সময় সোমবার (১০ জুলাই) তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অন্য কোন দেশ যদি আমাদের সাথে কথা বলে আমরা সেটিকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মনে করি না। এ ধরণের আলোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ এটা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।’
স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশি সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে আগ্রহ দেখাচ্ছে সেটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে রাশিয়া, চীন এবং ইরান। গত সপ্তাহে রাশিয়া ও চীন এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্কে এর সমালোচনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অন্যদের কেন আপত্তি থাকবে সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে তার প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছেন। ৫০ বছরের বেশি সময় যাবত বাংলাদেশের বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে আমরা উভয়েই এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্তি করি।’
মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক বিপরীতে আরেকটি রাজনৈতিক দলকে তারা সমর্থন করেন না। বরং সত্যিকার গণতান্ত্রিক ধারাকে সমর্থন করে আমেরিকা।’
উল্লেখ্য যে, আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধায় মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। দলটি সহ দেশটির সহকারী সেক্রেটারি ডনাল্ড লু ১১ই জুলাই থেকে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন। বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপের যে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে এই সফরকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উজরা জেয়া এবং ডলান্ড লু’র সফরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। সেটি পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদ সম্মেলনে।
এই সফরে তারা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। সেখানে রোহিঙ্গা সংকট, শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, মানব পাচার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে।
মিলার জানান, এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সাথে বৈঠক করবেন। সেখানে মতপ্রকাশের ও সংগঠনের স্বাধীনতা, সুশাসন এবং গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় টুইটারে এক বিবৃতির মাধ্যমে বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো যে তৎপরতা দেখাচ্ছে সেটি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নগ্ন হস্তক্ষেপের’ শামিল।