পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার
এডভোকেট রাবেয়া হক, বিশেষ প্রতিবেদন,আদালত বার্তাঃ২৫ মে ২০২৪।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এই কক্সবাজার কে জানার জন্য ভ্রমণ পিপাসু যেন আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই।এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানের বিবরণ
কক্সবাজার (পালংকী): বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা এবং পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত (১৫৫ বা ১২০ কি.মি.)। নাফ নদী বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলকে বিভক্ত করেছে। [উল্লেখ্য, নাফ নদী মিয়ানমারের আরাকান পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে এবং মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর নাফ নদীর তীরে অবস্থিত।] সেন্ট মার্টিন দ্বীপ (৮ বর্গ কি.মি.) বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক ‘প্রবল দ্বীপ’ (Coral Island) এবং সেন্টমার্টিনের ‘ছেঁড়া দ্বীপ’ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের স্থান। সেন্টমার্টিন টেকনাফ সমুদ্র উপকূল হতে ৯ কি.মি. দক্ষিনে নাফ নদীর মুখে অবস্থিত। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন চলাচলকারী জাহাজ হলো কেয়ারই জিন্দাবাদ। সেন্টমার্টিন দ্বীপে পাওয়া যায় অলিভ টার্টল, গ্রিন টার্টল ও হকসিবল প্রজাতির কচ্ছপ। ছেঁড়া দ্বীপ (৩ বর্গ কি.মি.) জোয়ারের সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কিন্তু ভাটার সময় সেন্টমার্টিন হতে পায়ে হেঁটে দ্বীপটিতে যাওয়া যায়। ৪ জানুয়ারি, ২০২২ সালে সেন্টমার্টিন এবং এর আশেপাশের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গ কি.মি. এলাকাকে ‘মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ (Marine Protected Area – MPA) ঘোষণা করা হয়।
কুতুবদিয়া, মাতারবাড়ি, মহেশখালী, সোনাদিয়া, শাহ পরীর দ্বীপ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ (নারিকেল জিঞ্জিরা/ দারুচিনি দ্বীপ) কক্সবাজারের প্রধান দ্বীপ। কুতুবদিয়া দ্বীপে রাতে নৌ চলাচলের সুবিধার জন্য বাতিঘর আছে। মাতারবাড়ি দ্বীপ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বিখ্যাত। মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ যেখানে আদিনাথ মন্দির অবস্থিত। ৭ বর্গ কি.মি. দীর্ঘ সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০০১ সালে চকোরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হয়। ১৯৬৫ সালে রামুতে বাণিজ্যিকভাবে রাবার চাষ শুরু হয়। কক্সবাজারের হিমছড়ি পাহাড়ে শীতল পানির ঝর্ণা এবং ঝিলংজায় এলিফ্যান্ট পয়েন্ট ও ১ম সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশন অবস্থিত। চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, রাখাইন কক্সবাজারে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তা।