প্রবাসী আয়ে বিশ্বে সপ্তম বাংলাদেশ।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ২৯ডিসেম্বর ২০২৩
২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে বিশ্বে সপ্তম স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। চলতি বছরের শেষে দেশটির প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে বাংলাদেশে। এরপরই সৌদি আরব থেকে আসে। এ ছাড়া গালফ কো অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) বেশ কয়েকটি দেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবাসী আয় আসে।
বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব থেকে। এ ছাড়া গালফ কো অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) বেশ কয়েকটি দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবাসী আয় আসছে। এর মধ্যে রয়েছে কুয়েত, বাহারাইন, কাতার, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাকসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
বিশ্বে প্রবাসী আয়ে শীর্ষ দেশ ভারত। চলতি বছর দেশটির প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২৫ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের শ্রমবাজারের চাঙাভাব, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমার কারণে প্রবাসী আয়প্রবাহ বাড়বে বছর শেষে। তবে সৌদি আরব ও কুয়েতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রীতিমতো ধস নামার কারণে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
দেশভিত্তিতে প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে মেক্সিকো। দেশটি মোট ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় পেতে পারে। ৫ হাজার কোটি ডলারের প্রবাসী আয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকবে চীন। চতুর্থ স্থানে থাকবে ফিলিপাইনস, তারা পাবে ৪ হাজার কোটি ডলার।
মিশর ও পাকিস্তান উভয় দেশই ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকবে। সপ্তম স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। নাইজেরিয়া, গুয়েতেমালা ও উজবেকিস্তান যথাক্রমে ২ হাজার ১০০ কোটি, ২ হাজার কোটি ও ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় নিয়ে অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে থাকবে।
প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। ২০২৩ সালেও প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।