ফেব্রুয়ারিতেই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ত্রিপুরার সাব্রুম। এই দুটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে প্রায় ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মৈত্রী সেতু। ২০২১ সালের মার্চ মাসে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিতিতে এই সেতু উদ্বোধন করা হলেও বিভিন্ন কারণে এই সেতু এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এলপিএআই)-এর চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে বলেছেন, উদ্বোধন হওয়ার প্রায় তিন বছর পর ফেব্রুয়ারি মাসে অবশেষে উন্মুক্ত হতে চলেছে এই মৈত্রী সেতু।
ভারত ও বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে তুলতে আগেই চালু হয়ে গেছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস। গত বছর থেকেই রেলের চাকা সীমান্ত পার করে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করছে। বাংলাদেশ ও আগরতলার মধ্যে এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত এই রেলপথের উদ্বোধন করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থা উন্নত হয়েছিল। বর্তমানে ফেনী নদীর ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোর মধ্যে অবস্থিত এই মৈত্রী সেতু দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও অনেক বেশি সহজ করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৩১ জানুয়ারি আদিত্য মিশ্র এই মৈত্রী সেতু প্রসঙ্গে বলেছিলেন, প্রকল্পটি প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসের মধ্যে এই ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট উদ্বোধন করার জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী চলাচল সহজ হবে। এটি এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। মৈত্রী সেতু দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এবং উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের নতুন পথের সূচনা করবে। এর ফলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেতু হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেছেন, কার্গো ও ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়াও সাব্রুম আইসিপি দুই দেশের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা করবে।
এই সেতু সম্পূর্ণ চালু হলে তা ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক অবস্থা এবং উভয় দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পক্ষে বিশেষভাবে সহায়ক হয়ে উঠবে।