বই পড়া এবং বই না পড়া মানুষের মধ্যে পার্থক্য
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক, আদালত বার্তাঃ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
বই পড়া এবং বই না পড়া মানুষের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে বোঝা যায় চিন্তা, ভাষা, জ্ঞান এবং দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে। নিচে কয়েকটি প্রধান পার্থক্য তুলে ধরা হলো—
১. জ্ঞানের পরিধি
বই পড়া মানুষ: সাধারণত বেশি জ্ঞানসমৃদ্ধ, বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা রাখে, গভীরভাবে চিন্তা করতে পারে।
বই না পড়া মানুষ: জ্ঞানের পরিধি সীমিত থাকে, অনেক ক্ষেত্রে কুসংস্কার বা একপেশে দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে আটকে থাকতে পারে।
২. ভাষার দক্ষতা ও প্রকাশভঙ্গি
বই পড়া মানুষ: ভাষার দক্ষতা ভালো হয়, যুক্তি দিয়ে স্পষ্টভাবে নিজের মত প্রকাশ করতে পারে।
বই না পড়া মানুষ: শব্দভাণ্ডার সীমিত থাকে, নিজের ভাবনা প্রকাশে অসুবিধা হতে পারে।
৩. চিন্তাধারা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা
বই পড়া মানুষ: বিশ্লেষণ ক্ষমতা ভালো হয়, জটিল বিষয়ও যুক্তিসঙ্গতভাবে বুঝতে পারে।
বই না পড়া মানুষ: অনেক সময় আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বা সরলীকৃত চিন্তাভাবনার দিকে ঝুঁকে পড়ে।
৪. সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি
বই পড়া মানুষ: নতুন আইডিয়া নিয়ে ভাবতে পারে, সৃজনশীলতা বেশি থাকে।
বই না পড়া মানুষ: সৃজনশীলতার অভাব হতে পারে, কল্পনার জগৎ তুলনামূলক সংকীর্ণ হতে পারে।
৫. ধৈর্য ও মনোযোগ
বই পড়া মানুষ: মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি, ধৈর্যশীল হয়।
বই না পড়া মানুষ: ধৈর্য কম হতে পারে, দ্রুত হতাশ হয়ে পড়তে পারে।
৬. দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা
বই পড়া মানুষ: সাধারণত মুক্তমনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারে।
বই না পড়া মানুষ: অনেকে একগুঁয়ে হয়ে যায়, নিজের চিন্তাধারার বাইরে ভাবতে চায় না।
বই পড়ার অভ্যাস শুধু ব্যক্তিগত জ্ঞানই বাড়ায় না, বরং এটি ব্যক্তিত্ব, চিন্তাশক্তি এবং সমাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকেও সমৃদ্ধ করে। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।