রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনে বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত ও ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তা:৭ মার্চ ২০২৩।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনে বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত ও ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। অন্য সূত্রগুলো বলছে যে আহত ব্যক্তির সংখ্যা শতাধিক হতে পারে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান সিকদার জানান, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সার্ভিসের ১১টি ইউনিট উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কাজ করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় লোকজনও উদ্ধার কাজে যোগ দেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নর্থ সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ে একটা ভবনে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি আরো জনান, সাত তলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার নিচের দুটো তলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিলো।
বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্ফোরণের ধাক্কায়।পাশের সাকি প্লাজা নামে পাঁচ তলা ভবনের ওপরে চারটি ফ্লোরে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলিস্থান শাখা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় কাচ ভেঙে ব্যাংকের অফিস কক্ষগুলোর পর্দা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। কোনো নাশকতা থেকে বিস্ফোরণ নাকি গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “অনেক সময় মিথেন গ্যাস, এসির গ্যাস বা পয়োঃগ্যাস জমে এমন বিস্ফোরণ হতে পারে। এটা নাশকতা, নাকি দুর্ঘটনা, তা আমাদের বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত শেষ করে বিস্তারিত বলতে পারবে।”
তিনি জানান, “ভবনে যারা আটকে পড়েছিল সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। হয়তো নিচে দু’চারজন আটকে থাকতে পারে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।”
চিকিৎসক-নার্সের কোন সংকট নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন যে চিকিৎসায় কোন ব্যাঘাত ঘটবে না।
সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানা এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণের পর, এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে এটি তৃতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা।