বান্দরবানের দুই উপজেলা ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা
ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তাঃ১২ ডিসেম্বর ২০২২।
সীমান্ত এলাকায় জঙ্গিবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। গত ১৭ অক্টোবর থেকে উপজেলা দুটিতে পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আছে। রুমা ও রোয়াংছড়ি ছাড়া জেলার অন্য ৫ উপজেলায় ভ্রমণে কোনো বাধা নেই।
রোববার বান্দরবান জেলা প্রশাসনের এক নির্দেশনায় জানানো হয়, পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য আরোপ করা হয়েছে।
দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার বিরুদ্ধে অভিযানের কারণে প্রথমে গত ১৭ অক্টোবর রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হয় থানচি ও আলীকদম। দফায় দফায় এসব উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়।
তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকলে প্রথমে আলীকদমকে এবং গত ৮ ডিসেম্বর থানচিকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
এদিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্যরা বম সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে তাদের ছদ্মবেশে যাতায়াত ঠেকাতে রুমার প্রধান বাজারে গোষ্ঠীটির কেনাবেচায় যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, সেটাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বড়দিন সামনে রেখে বাজারে ভিড় বেড়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।
এ ব্যাপারে রুমা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অঞ্জন বড়ুয়া বলেন, বম সম্প্রদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কারণে বড়দিন সামনে রেখে বাজারে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে।
অন্যদিকে প্রতিবছর শীত মৌসুমে বান্দরবানে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটলেও এবার নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিকে জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল ও বিনোদনস্পট প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে আর্থিক লোকসান গুনতে হয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তবে ৫ উপজেলা নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত হওয়ায় এখন ধীরে ধীরে পর্যটকের আগমন বাড়ছে, তবে তা আশানুরূপ নয় বলছেন ব্যবসায়ীরা