1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখলে ভারত দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না ভিজিট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে যেভাবে সেটেল হবেন !! ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ ‘সম্পর্কে মেঘ এসেছে, এটি দূর করতে হবে’ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য সুসংবাদ বিদেশেও সচল থাকবে গ্রামীণফোনের সিম আজকে যিনি আমলা, কাল সে রাজনীতিবিদ, পরের দিন ব্যবসায়ী’ যাদের ১৮ পূর্ণ হয়েছে তাদের ভোটার হওয়ার আহ্বান- ইসি আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় আইএসের ওপর মার্কিন বিমান হামলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় জনজীবনে ভোগান্তি

বিচারপ্রার্থীদের কল্যাণেই কাজ করতে হবে : বিচারপতি নাঈমা হায়দার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

বিচারপ্রার্থীদের কল্যাণেই কাজ করতে হবে : বিচারপতি নাঈমা হায়দার।

এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তা :২২ মার্চ ২০২৩।

আইনে লিখিতভাবে যাই থাকুক না কেন, আইন প্রণয়নের মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণের কল্যাণে সেটা প্রয়োগ করা। প্রয়োজনে আইনের ইতিবাচক দিক সমূহের ব্যাখ্যা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট আইন থেকেই। সুতরাং আইনের মূখ্য উদ্দেশ্য জনগণের কল্যাণকে ভিত্তি করেই বিচারপ্রার্থীদের সেবা দিতে হবে।
সোমবার (২০ মার্চ) কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে “Panel Discussion with the Bar & Bench on expansion of Legal Aid” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাঈমা হায়দার একথা বলেন।
How lawyers and Judiciary Can Work Together to Ensure Quality Legal Aid for The People বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, বারের সহায়তা ছাড়া বেঞ্চের পক্ষে কখনো সাবলীল ও জনবান্ধব বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বেঞ্চকে গতিশীল রাখতে হলেই বারের সহযোগিতা অপরিহার্য। তাই নাগরিকদের জন্য সুবিচার নিশ্চিত করতে, বিচার বিভাগকে সমৃদ্ধ করতে বার ও বেঞ্চকে একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আইনের একাডেমিক পড়াশুনা আর বাস্তবতা পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিচার প্রক্রিয়ায় বাস্তবতা ও আইনের ইতিবাচক দিক বিবেচনায় এনেই কাজ করতে হবে।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার আরো বলেন, সরকারের অনবদ্য সৃষ্টি “লিগ্যাল এইড আইন”। দেশের অসচ্ছল, নির্যাতিতা নারী, নিঃস্ব ও গরীব লোকজন এ আইনের সুফল ভোগ করায় লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের পরিসর আরো বাড়ানোর অপরিহার্যতা দেখা দিয়েছে। লিগ্যাল এইড অসচ্ছল, নিঃস্ব, গরীব বিচারপ্রার্থীদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকারকেও নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, সব বিচার সালিশ, সব নিয়ম কানুন মেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিচারালয়ে স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ায় হতে হবে, এমন কোন কথা নেই। যেকোন বিরোধকে প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে এডিআর পদ্ধতিতে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে পারাটাই উত্তম কাজ। এতে একদিকে, বিরোধীয় পক্ষগুলো মামলার বিড়ম্বনা ও অর্থ ব্যয়ের অহেতুক ঝামেলা থেকে রেহায় পাবে এবং অন্যদিকে, আদালতগুলোতেও মামলার অনেক চাপ কমবে।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সাজ্জাতুন নেছা লিপি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভার প্রারম্ভে Why lawyers Should Provide Legal Aid Services to the poor বিষয়ে বক্তব্য রাখেন USAID’s Promoting Peace and Justice Activity এর Chief Of Party Heather Goldsmith (হিথার গোল্ডস্মিথ), Why Lawyers Should Provide Legal Aid বিষয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র পরিচালক (জেলা জজ) মোহাম্মদ আল মামুন, Role of Advocates in ADR বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন, Role of Legal Aid Officer in ADR বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, Ethics of Legal Aid Lawyers বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসার (অতিরিক্ত জেলা জজ) ফারাহ মামুন, How the Bar Can Support Legal Aid বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক।
প্রধান অতিথি বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে উম্মুক্ত প্রশ্ন উত্তর পর্বে বিজ্ঞ বিচারক ও আইনজীবীরা অংশ নেন। সভার সভাপতি কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল তাঁর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সভা সমাপ্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মোঃ নুরে আলম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ আবদুর রহিম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা ২, ৩, ৪ এবং ৫ যথাক্রমে মোঃ সাইফুল ইলাহী, মোহাম্মদ আবদুল কাদের, মোঃ মোশাররফ হোসাইন ও নিশাত সুলতানা, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র উপ পরিচালক (অর্থ ও হিসাব, যুগ্ম জেলা জজ) মোঃ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ এবং ২ যথাক্রমে মাহমুদুল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী, সিনিয়র সহকারী জজ সুশান্ত প্রাসাদ চাকমা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজীন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ মোঃ আসিফ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম, সহকারী জজ মোঃ ওমর ফারুক, সহকারী জজ আবদুল মান্নান, সহকারী জজ মাজেদ হোসাইন সহ আরো বিচারক, পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ, জিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, সিনিয়র আইনজীবীগণ, লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) কক্সবাজার শহরের হোটেল ওশান প্যারাডাইসে “Co-ordination Meeting on Strengthening local level Legal Aid Committees” শীর্ষক মত বিনিময় সভায় বিচারপতি নাঈমা হায়দার অনুরূপভাবে প্রধান অতিথির গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট