বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে উদ্বোধন হতে পারে দৈনিক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের বৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তিস্তা সোলার পাওয়ার প্লান্ট। তিস্তা নদীর ওপারে কুড়িগ্রামের উলিপুর আর এপারে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এবং পাশেই রংপুরের পীরগাছা উপজেলা। এই তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী সংযোগস্থলে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির অবস্থান।
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ৮৫টি মাউন্টিং পাইলস, যার ওপরে বসানো হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার সৌর প্যানেল। সারি সারি সাজানো সৌর প্যানেলের সৌন্দর্য দৃষ্টি কেড়ে নেবে যে কারো। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব সৌর প্যানেল থেকে ১২০টি ইনভার্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এজন্য ২৮টি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ স্থাপন, সাবস্টেশনসহ ১২০ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ এবং জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তির জন্য তিস্তা সোলার পাওয়ার প্লান্ট থেকে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইন তৈরি করা হয়েছে। এই লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
তিস্তা নদীর তীরের চরখোদ্দা গ্রামের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ের দিকে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে উদ্বোধনের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তার আগে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। উত্তরাঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ গোটা রংপুর বিভাগের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রকল্প এডমিন আলহাজ ইউনুছ আলী বলেন, প্রকল্পটি উত্তরাঞ্চলেরসহ দেশের জন্য একটি মাইলফলক।