সোমবার (২ জানুয়ারি) বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-২০২৩ প্রকাশ পেয়েছে। এডি’র নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই তালিকায় এসব গবেষকের নাম রয়েছে। তালিকায় কুবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম এবং বাংলাদেশের মধ্যে ১৪৯১তম স্থানে আছেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বেলাল উদ্দিন।
সেরা গবেষকদের নিয়ে প্রকাশিত এ তালিকায় বিশ্বের ২১৬টি দেশের ১৯৫২৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৩২৮৩০ গবেষক রয়েছেন। বিভিন্ন মানদণ্ড ও একাডেমিক অধ্যয়ন বিশ্লেষণ করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯ জন শিক্ষক হলেন, আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম মর্তুজা তালুকদার।
এছাড়াও তালিকায় আছেন মো. মিজানুর রহমান, পার্থ চক্রবর্তী, জি এম আজমল আলী কাউছার, মাহমুদুল হাসান, মো. খলিলুর রহমান, মো. কামাল হোসাইন, মো. সোলাইমান, এম জাকির ছাদউল্লাহ খান, ফয়েজ আহমেদ, মো. আব্দুল মাজেদ পাটোয়ারী, সাইফুর রহমান, নয়ন বনিক, মো. ওয়ালী উল্লাহ, মো. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, এম আমিনুল ইসলাম আকন্দ, মো. মশিউর রহমান, মো. হাসান হাফিজুর রহমান, তারেক হোসাইন, মো. তোফায়েল আহমেদ, শহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন কায়সার, কাজী ওমর সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, নবিনখোর কন্দু, মাকছুদুর রহমান, মো. মমিনুর রহমান, আমান মাহবুব রিংকু।
তালিকায় আরও আছেন মাহমুদা খাতুন, এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, মো. সাইফুর রহমান, মো. আব্দুল হাকিম, মো. রাকিব হাসান, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, জাহাঙ্গীর আলম, সংগীতা বশাক, অদিতি সরকার, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, আফরিনা আক্তার মিশু, বুরহান উদ্দিন, মো. শাহেদুর রহমান, মো. কামাল হোসাইন চৌধুরী, মো. ফরহাদ হোসাইন, মো. মাইনুল হাসান, মিলন, কৃঞ্চ কুমার সাহা, চৌধুরী শাহরিয়ার মোজাম্মেল, সজিব রহমান, নাহিদা আফরোজ, মোহাম্মদ মাহবুব রহমান মানিক, আব্দুল আহাদ, মো. নাজমুল হক, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, খানিজ মাতেমা ও রেজওয়ান আহমেদ মেহেদি।
এ বিষয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, তালিকায় স্থান পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। একইসাথে একজন গবেষক হিসেবে এটি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়। আমি মনে করি সামনের দিকে যারা নিজদের প্রমাণ করতে চায় তাদের জন্যও এটি অনুপ্রেরণা যোগাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, এটি খুবই প্রশংসনীয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান এখন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউজিসিও আমাদের গবেষণার বরাদ্দ বাড়িয়েছে। ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চের কোয়ালিটি এবং কোয়ান্টিটিও বেড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি অত্যন্ত সুখকর বিষয়। আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ তৈরী হয়েছে। যেটি ইতোপূর্বে ছিলনা। আমি বিশ্বাস করি শিক্ষকদের মধ্যে এ প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে। গবেষণা মুখী পরিবেশ তৈরীতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।