বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় বা প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা
সম্পাদকীয়
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ২২মে ২০২৪
” আজ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় বা প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা । মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মৃত্যু ও বোধিজ্ঞান লাভের স্মৃতি বিজড়িত আজকের শুভ বুদ্ধ পূর্নিমা।
আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই পূর্নিমা
তিথিতে মহা মানব গৌতম বুদ্ধ জন্মে ছিলেন নেপালের লুম্বিনী কাননে।
এ তিথিতে তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধ গয়ায়।আবার এ তিথিতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। এ কারনেই বলা হয় ত্রি – স্মৃতি বিজড়িত শুভ বুদ্ধ পূর্নিমা। এছাড়া এ পুর্নিমাকে বৈশাখী পূর্নিমা ও বলা হয়।
এ তিনটি বিশেষ ঘটনা বুদ্ধ পূর্নিমার তাৎপর্য বহন করে।
বুদ্ধ পূর্নিমা শুধু কোন জাতি,গোষ্ঠী , সম্প্রদায় কিংবা বিশ্ব বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য নয়, এটি সমগ্র বিশ্বের মুক্তিকামী ও মানবতাবাদী মানুষের জন্য। কারণ তিনি অহিংসার বাণী
প্রচার করেছেন।তিনি আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলেছেন। তাঁর এই অমিয় বাণী আজকের এই অশান্ত ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মুল্যবোধের অবক্ষয় রোধ, ধর্ম – বর্ন জাতিতে হানাহানি রোধ সহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমভাবে প্রযোজ্য বলে আমি মনে করি।
বুদ্ধ বলেছেন –‘জন্ম নেওয়া ভাগ্যের ব্যাপার,
মৃত্যু হওয়া সময়ের ব্যাপার কিন্তু মৃত্যুর পরেও মানুষের মনে বেঁচে থাকা৷ কর্মের ব্যাপার।”
শান্তি ও সম্প্রীতি আর সুন্দর সমাজ বিনির্মানে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সর্ব জীবের সুখ শান্তি ও মঙ্গল প্রতিষ্ঠায় এ ধর্ম।
অতএব বিশ্বের সর্ব জীবের মুক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এদেশে আবহমানকাল ধরে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। অর্থাৎ আমরা সকল ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে বিভিন্ন উৎসব গুলো অত্যন্ত আনন্দের সাথে
পালন করে থাকি, চলুন সকলে মিলে মৈত্রী ভাব নিয়ে আজকের এই মঙ্গলময় উৎসব পালন করে।
বুদ্ধ ধর্ম মানবতার ধর্ম তাই সমগ্র বিশ্বে এ উৎসব পালন করা হয়।জাতিসংঘ এ মহান বুদ্ধ পুর্নিমাকে গুরুত্ব দিয়েছেন মর্যাদার আসনে।
এই শুভ পুর্নিমায় এই দিনে সবার কাছে — দূরে থাকা সকল আত্বীয় – স্বজন, ও বন্ধুদের জানাই মৈত্রীময় শুভেচ্ছা শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।।
জগতের সকল প্রানী সুখী হোক।
সাধু সাধু সাধু (২৫৬৭ বুদ্ধ বর্ষ)