1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এনবিআরের দুই বিভাগে সচিব নিয়োগে আসছে নতুন নীতিমালা রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা ট্রাইব্যুনালের এক সাথে কেন খাবেন?  পুরান ঢাকার বড় কাটরা  ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির। দুর্নীতির অভিযোগে ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার সরকারি প্রটোকলে বড় পরিবর্তন: উচ্চপদস্থ নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের বিতর্কিত বিধান বাতিল সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট না করে, যেভাবে টাকা আয় করবেন নিজের পারসোনালিটি নিজেকে ধরে রাখতে হবে তার জন্য দুইটা জিনিস মনে রাখবেন একটা মাএ সন্তান, খুব যত্ন করে বড় করেছি —কক্সবাজারে নিখোঁজ  অরিএর  বাবা। 

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার এত কাছে হওয়াটা কি এই প্রথম?

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার এত কাছে হওয়াটা কি এই প্রথম?
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা ঃ ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার এত কাছে হওয়াটা কি এই প্রথম?
ঢাকাসহ এর আশপাশের অঞ্চলে শুক্রবার ভোরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকার কাছে হওয়ায় এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে অনেকে সরব। প্রশ্ন হলো ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার এত কাছে হওয়াটা কি এই প্রথম।
ঢাকায় শনিবার শুক্রবার ভোরে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, তার উৎপত্তিস্থল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বলে দাবি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর আগে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকার দোহারে বলে নিশ্চিত করেছিল মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়, এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

রূপগঞ্জই হোক বা দোহার, একটা বিষয় নিশ্চিত যে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি ছিল রাজধানী ঢাকার খুব কাছে। একইসঙ্গে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থলের গভীরতাও বেশ কম। ফলে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই।

বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। দেশের সিলেট, চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিচে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফল্ট লাইন। সাধারণত ঢাকায় অনুভূত অধিকাংশ ভূমিকম্পেরই উৎপত্তিস্থল হিসেবে সিলেট বা চট্টগ্রামের নাম দেখতেই অভ্যস্থ সবাই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরার নামও আসে। ফলে এবারের ভূমিকম্পটি মূলত দুটি কারণে রাজধানীবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রথম কারণ অবশ্যই গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়া অঞ্চলে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের স্মৃতি। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ মারা গেছে। আর অবকাঠামোসহ সার্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা না বললেও চলে। আর দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই রাজধানীর এত কাছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়া।
যদিও ঢাকায় অনুভূত ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার আশপাশে এর আগেও পাওয়া গেছে। ২০০৮ থেকে ২০১২-১৩ পর্যন্ত ঢাকার কাছাকাছি নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা অঞ্চলে গ্রীষ্মের সময় অনেকগুলো ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়েছে।

ভূমিকম্প শনাক্তকারী সংস্থা আর্থকোয়েকট্র্যাকের তথ্যমতে, ২০১২ সালের ১৮ মার্চ দোহার থেকে ১৪ দশমিক ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল। ঢাকার কাছে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চলেও গত ২০ বছরে একাধিক ছোট ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে টাঙ্গাইলের ১২ কিলোমিটার পূর্বে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এ ছাড়া ২০০৮ সালে টাঙ্গাইলের কাছে নাগরপুরে এবং ২০১৯ সালে মির্জাপুরে ৪ মাত্রার নিচে ভূমিকম্প হয়। আর গত ১৫ বছরে নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে অন্তত চারবার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

এসব ভূমিকম্পে তেমন কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিশেষজ্ঞরা বরাবরই ভূমিকম্প মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি ঘাটতি রয়েছে বলে সতর্ক করে আসছেন। আর এখানেই রয়েছে জনমনে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের মূল সূত্রটি।

গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে ভূমিকম্প হওয়ার পর দেশের ভূমিকম্প মোকাবিলা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা। সে সময় তাঁরা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশে ৮ মাত্রা বা তার চেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেরকম ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের অন্তত ৬ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাণহানি হবে অন্তত ৩ লাখ মানুষের।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট