গত ২১ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। চিঠির বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী এবং ১৯৭৫-এর জেল হত্যার আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের নাম তার ছেলে ও মেয়ে কর্তৃক জাতীয় ডাটাবেজে পরিবর্তন করা হয়ছে।
চিঠিতে জানানো হয়, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন তার নাম পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান নামে পরিচিত হয়েছেন এবং পলাতক রয়েছেন মর্মে এনটিএমসি থেকে পাওয়া চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। তার ছয় ছেলে-মেয়ে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম রিসালদার মোসলেম উদ্দিন পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান উল্লেখ করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৩ ছেলে-মেয়ে উত্তোলনকৃত পাসপোর্ট এবং ১ ছেলে ড্রাইভিং লাইসেন্সেও পিতার নাম পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে-মেয়ে কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য জাতীয় ডাটাবেজে পিতার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ মর্মে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও ১৯৭৫-এর জেল হত্যার আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে-মেয়ে কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম মোসলেম উদ্দিন পরিবর্তন করে রফিকুল ইসলাম খান অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে-মেয়ে কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম মোসলেম উদ্দিন পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি মহাপরিচালক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।