আজ ২রা এপ্রিল কেরানীগঞ্জ গনহত্যা দিবস।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ২ এপ্রিল ২০২৪।
আজ ২রা এপ্রিল কেরানীগঞ্জ কোন হত্যা দিবস।
১৯৭১ সালে ২রা এপ্রিল যখন পশ্চিমা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঢাকায় নিরস্ত্র নিরপরাধ লোকজনকে হত্যা করছিল তখন প্রাণ নিয়ে বাঁচার জন্য ঢাকার পাশের বুড়িগঙ্গা নদীর এপারে জিনজিরা, আগানগর, কালিন্দী এলাকায় অগণিত নারী-পুরুষ শিশু নদী পার হয়ে এই এলাকায় আশ্রয় নেয়। এই সমস্ত স্থানে আশ্রয় নিলেও নিরীহ লোকজনের শেষ রক্ষা হয়নি পশ্চিমা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশুও। যেখানে যাকে পেয়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে এদেশের দোসরদের সহযোগিতায় সংঘটিত হয় যার ফলে কেরানীগঞ্জের স্থানীয় লোকজন ও ঢাকা থেকে আসা লোকজনও তখন গণহত্যার শিকার হন। সেই সময় সবচেয়ে বেশি গণহত্যার শিকার হয়েছেন জিনজিরা, আগানগর, ও কালন্দীতে আশ্রয় নেওয়া ও স্থানীয় লোকজন।
তখন এই গণহত্যায় অগণিত লোকজন শহীদ হন। সেই সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন এই গণহত্যায় কেরানীগঞ্জ যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় রক্তের স্রোতে তখন চারদি রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি রঞ্জিত হয়ে যায়।তখন কবর দেওয়ার মতন লোকজনও পাওয়া যাচ্ছিল না। এত এত লাশ যে কবর খোড়ার মতোন ও পরিবেশ না থাকায় তখন অনেককে একত্রে এক স্থানেই জঞ্জিরার হাউলী ও আগানগর কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। কালের ইতিহাসে এই দিনটি কেরানীগঞ্জ গণহত্যা দিবস হিসাবে পরিণত হয়েছে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর হলেও এই গণহত্যায় কতজন শহীদ হয়েছেন তার প্রকৃত তথ্য আজও জানা যায়নি এবং এই গণহত্যার বিচারেরও কোন প্রকার ব্যবস্থা হয়নি।
স্বাধীন সার্বভৌম দেশে আজও এই গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারগন রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের শহীদের মর্যাদা ও শহীদ পরিবার হিসেবে তাদের ওয়ারিশগন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চায়।
১৯৭১ সালে ২রা এপ্রিল কেরানীগঞ্জ গণহত্যা দিবস হিসেবে মনু ব্যাপারীর ঢালে শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারে সকল স্তরের লোকজন স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।