কক্সবাজার হতে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রের তীর ঘেঁষে ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ করা হয় — তাহলে কেমন হবে?
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ১১ জুন ২০২৫
🇧🇩✨ বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়!
সমুদ্রপাড় ঘেঁষে কক্সবাজার-শাহপরীর দ্বীপ রেলপথ 🚄🌊
বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য যদি কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রের তীর ঘেঁষে ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ করা হয় — তাহলে কেমন হবে?
এই রেলপথ শুধু যোগাযোগ নয়, বদলে দেবে দেশের পর্যটন, অর্থনীতি আর আর্থ-সামাজিক চিত্র।
🚄 এই রুটে যা থাকবেঃ
✅ ভিস্তাডম কোচসহ টুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন 🌅
এগুলো কক্সবাজার থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত চলাচল করবে। যেখানে বসে দেখতে পারবেন একপাশের বিশাল 🌊সমুদ্র আরেকপাশের আকাশছোঁয়া ⛰️পাহাড়। ভাবুন তো… আপনি ভিস্তাডমে চড়ে বালুকাময় সৈকতের পাশ দিয়ে যাচ্ছেন, আর সূর্যটা ধীরে ধীরে ডুব দিচ্ছে সমুদ্রের পানিতে 🌊🌞 কেমন অনুভূতি হবে তখন??
✅ ট্রেন 🚈
লোকাল ট্রেন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকরা। ১২০ কিমির অবিচ্ছিন্ন সৈকতের যেকোনো পয়েন্টে স্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটেই যেতে পারবেন 🚶♂️🌴 লাগবে না আর অটোরিকশা কিংবা সিএনজি।
✅ আন্তঃনগর ট্রেন 🚄
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ,চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল,রাজশাহী, সিলেট, পঞ্চগড়,রংপুর , ময়মনসিংহসহ দেশের বড় বড় শহর থেকে সরাসরি এই রুটে ট্রেন ছুটে আসবে। পাশাপাশি খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি,কাপ্তাই,বান্দরবান, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষীপুর,ফেনী থেকেও ট্রেন চলাচল করবে।সেন্টমার্টিন ভ্রমণ আরও সহজ হবে 🏝️✨
অতিরিক্ত চাহিদা থাকা রুট গুলোতে সপ্তাহের প্রতিদিন ট্রেন চলবে। অন্যান্য দূরবর্তী বিভাগীয় শহর থেকে সপ্তাহে ২ অথবা ৩ দিন ট্রেন আসবে।
✅ বিশেষ ফ্রিজিং ভ্যান ট্রেন (মাছ পরিবহনের জন্য) 🐟🚛
আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এতে কক্সবাজারের টাটকা মাছ, কাঁকড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাবে।🛤
প্রস্তাবিত স্টেশনসমূহ 🚉:
১️ কক্সবাজার
২️ কলাতলী
৩️ হিমছড়ি
৪️ পেঁচার দ্বীপ
৫️ সোনার পাড়া
৬️ ইনানী
৭️ পাটুয়ারটেক
৮️ বাইলাখালী
৯️ ছোয়াংখালী
🔟 শামলাপুর
১১️ বাহারছড়া
১২️ বরদৈল
১৩️ বাঘগোনা
১৪️ লেঙ্গুরবিল
১৫ টেকনাফ
১৬️ সাবরাং
১৭️ জালিয়াপাড়া
১৮️ শাহপরীর দ্বীপ
📍 স্টেশনগুলো ২-৩ কিমি পরপর সুবিধাজনক স্থানে বসানো হবে, যাতে পর্যটক, স্থানীয় ব্যবসায়ী , সাধারণ মানুষ এবং জেলেরা সবাই সমানভাবে উপকৃত হন।
🎯 এ প্রকল্প বাস্তবায়নে যে উন্নয়ন হবে 📈:
🌴 পর্যটনে নতুন দিগন্ত:
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত অসাধারণ প্রকৃতি আর সমুদ্রের ঢেউয়ের সৌন্দর্য দেখতে হাজার হাজার পর্যটক আসবে। ভিস্তাডম কোচে বসে উপভোগ করা যাবে সমুদ্রপাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
🏨 হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, হস্তশিল্প — সবকিছুর চাহিদা বাড়বে বহুগুণ।
🐟 মাছ পরিবহন ও রপ্তানি সুবিধা:
ফ্রিজিং ভ্যান ট্রেন থাকায় শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ, বাহারছড়া থেকে মাছ সরাসরি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত পাঠানো যাবে। এতে মৎস্য খাতে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি হবে।
👨👩👧👦 আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন:
এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। হোটেল-রিসোর্ট, পরিবহন, মৎস্য খাত, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
💰 অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি:
পর্যটন ও মাছ রপ্তানি খাত থেকে বছরে হাজার কোটি টাকার আয় হবে। বাড়বে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
🇧🇩 এই রেল পথ যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে দক্ষিণ কক্সবাজারের উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে এই রেলপথ।