1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত কর্মক্ষেত্র হোক পবিত্র অঙ্গন বিদায়টা হোক সম্মানের।  ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতির কথা জানিয়েছে ইসরাইল। বিএনপির করা একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  সাবেক সিইসি নুরুল  হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সকল ফ্লাইট বাতিল।  দক্ষতা সব যুগেরই বড় সম্পদ।যে মানুষ দক্ষ, সে কখনোই পিছিয়ে পড়ে না। রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানো সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান প্রশ্নে রুলের শুনানি আগামী ৭ জুলাই। আজ ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধের ২৬৮ বছর. হারানো বা অতিরিক্ত সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করবেন কি ভাবে?

কী করলে নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি লঙ্ঘন হয়?

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৮১ বার পড়া হয়েছে

কী করলে নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি লঙ্ঘন হয়?

এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তা : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
কী করলে নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি লঙ্ঘন হয়?
কী করলে নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি লঙ্ঘন হয়?
সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চারদিকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। তবে এরইমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি লঙ্ঘনের খবর আসছে। এ তালিকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে⎯ কী করলে নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি লঙ্ঘন হয়?

সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ ও এর সংশোধনীর (২৪-১১-২০১৩) ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনী প্রচারণায় কী করা যাবে ও কী করা যাবে না—তা তুলে ধরা হলো।

নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তিকে যে কয়েকটি বিধিনাবলী অনুসরণ করতে হয়— তারমধ্যে পোস্টার টাঙানো, মাইকিং করা ও দেওয়াল লিখনে বেশি বিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি⎯ প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাবে; তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযান পন্ড বা এতে বাধা প্রদান করা যাবে না; সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করতে হবে; প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে; জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথ সভা করা যাবে না।

পোস্টার টাঙানোর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন এবং পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুত ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোন দণ্ডায়মান বস্তু আর সারা দেশে অবস্থিত সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহ এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা কিংবা অন্য কোনো প্রকার যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না। তবে দেশের যে কোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল রশিতে ঝুলিয়ে টাঙানো যাবে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিলের ওপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না এবং কোনো প্রকার বিকৃতি বা নষ্ট করা যাবে না।

পোস্টারে কার কার ছবি থাকবে বা কত বড় করা যাবে বিধিমালায় সেটাও বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য পোস্টার ও ব্যানার সাদা-কালো রঙের হতে হবে এবং পোস্টারের সাইজ অনধিক ষাট বাই পঁয়তাল্লিশ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার অনধিক তিন বাই এক মিটার হতে হবে। পোস্টারে প্রার্থীর প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাতে পারবে না; প্রার্থী যদি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে তিনি কেবল তার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপতে পারবে; তবে কোনো অবস্থাতেই অনুষ্ঠান বা মিছিলে নেতৃত্বদান কিংবা প্রার্থনারত অবস্থার ভঙ্গিমার ছবি ছাপানো যাবে না।

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার শাস্তি অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড।

মিছিল বা শোডাউনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌ-যান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল করা যাবে না কিংবা কোনো শোডাউন করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচার কার্যে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযানও ব্যবহার করা যাবে না। তবে দলীয় প্রধানের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার হতে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোনো প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করা যাবে না।

শুধু মিছিল বা শোডাউন নয়⎯ মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না; মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা দুপুর ২টা হতে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোনো বক্তব্য বা কোনো শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচনী ক্যাম্পে কোনো কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনো উপঢৌকন প্রদান করাও যাবে না।

বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে চাঁদা বা অনুদান দেওয়া যাবে না; সরকারি ডাক-বাংলো, রেস্ট হাউজ, সার্কিট হাউজ বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারের স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচনও করা যাবে না।

বিধিমালা বলছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না কিংবা চলাচলের পথে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না; কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচলের স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প করা যাবে না।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট