◆জমির মালিকানা সূত্র কি কিভাবে হতে পারে?
বিশেষ প্রতিবেদন,আদালত বার্তাঃ৪ জুন ২০২৫
ওয়ারিশ সম্পতি বা পৈত্রিক সম্পত্তি বা এজমালী সম্পত্তি ক্রয়ের আগে যে চারটি ডকুমেন্ট দেখে নিবেন? চারটি ডকুমেন্ট না থাকলে ক্রয়, বায়নাপত্র, বা লেনদেন করবেন না। সম্পত্তি ক্রয় একদিনের, আর ঝামেলা সারা জীবনের, তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকুন ঝামেলা ছাড়াই ক্রয় করতে চেষ্টা করুন।
◆ ডকুমেন্ট চারটি হলো: ১. ওয়ারিশ সনদ পত্র। ২. পারিবারিক ভাগ বন্টন রেজিস্ট্রেশন দলিল। ৩. নামজারি খতিয়ান। ৪. হালনাগাদ খাজনা। তারপর অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্র দেখতে হবে।
◆ যেমনঃ- বিক্রেতা যে সুত্রে মালিক হলো, তার পূর্বের মালিক কোন সুত্রে মালিক হলো, দলিল,খতিয়ান কপি, দাগ নং, ভোগ-দখল যাচাই বাছাই করে নিবেন। এই চারটি ডকুমেন্ট যার কাছে থাকবেনা বা পারিবারিক মৌখিক বন্টনের মাধ্যমে তার কাছে জমি দখল থাকলেও তার থেকে ক্রয় করবেন না।
◆অনেকেই আছেন, মৃত পিতা-মাতার সম্পত্তি অন্যান্য ভাই-বোনদের না জানিয়ে এবং ওয়ারিশদের সম্পত্তিও গোপনে বিক্রি করে দেয়। আবার অনেকেই যতটুকু পাবে তারচেয়ে ও বেশি বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও অনেকেই ভালো পজিশনের জায়গা বিক্রি করে দেয়, অনেকেই আবার ওয়ারিশদের সম্পত্তি না জানিয়ে বিক্রি করে দেয়। মৌখিক বন্টনের মাধ্যমে অনেক জমি বিক্রি করে দেয়। মৌখিক ভাগ কোন দলিল নয়। মৌখিক বন্টনের কোন মূল্য নেই এবং এর কোন ভিত্তি নেই।
◆ এক লোক মৌখিক বন্টনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন একটা জমি ভোগ করে আসছে, হঠাৎ জমিটার মূল্য বেড়ে গেলে সবার চোখে পড়ে। এমন সময় তার অন্য ভাইরা এই জমির ভাগ দাবি করে।
◆ তাহারা যদি মৌখিক বন্টন না করে, পারিবারিক বন্টন রেজিস্ট্রেশন করতো তাহলে তার ভাইয়েরা ঐ জমি দাবি করতে পারতো না।
◆ ওয়ারিশ সনদ, বন্টন রেজিস্ট্রেশন দলিল যার আছে, তার সম্পত্তিতে কখনোই কোন ওয়ারিশগন ঝগড়া বিবাদ বা দাবি করতে পারবে না। ওয়ারিশ সনদ প্রমাণ করে প্রত্যেক ওয়ারিশ সম্পত্তির মালিক। বন্টন রেজিস্ট্রেশন দলিল দ্বারা প্রমাণ হয় প্রত্যেক ওয়ারিশগণের সম্মতিতে এই দলিল করা হয়েছে। তবে আবার দেখতে হবে ওয়ারিশ সনদ সঠিক কিনা, প্রত্যেক ওয়ারিশের নাম সঠিকভাবে উল্লেখ আছে কি না? সবার নাম ঠিকানা এবং স্বাক্ষর সঠিক ভাবে আছে কি না?
◆ অনেকেই বোনের অংশ না দিয়ে বিক্রি করে দেন, যিনি ক্রয় করেন সেই লোক বিপদে পড়েন। ভুল তথ্যে জমি কিনলে ওয়ারিশরা অভিযোগ, সালিশ, মামলা করলে আপনার জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।