1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রায় ও আদেশ যথাসময়ে অধস্তন আদালতে পাঠানোর নির্দেশ পবিত্র আশুরা ৬ জুলাই মিথ্যা মামলা ও অযৌক্তিক গ্রেফতার ঠেকাতে বিধান করছে সরকার : আসিফ নজরুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক শুধু বিনোদনের নয়, আয় ও প্রচারের প্ল্যাটফর্মও। ঐতিহ্যবাহী সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট  এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। একইসঙ্গে ফল প্রকাশে বিলম্ব যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত কর্মক্ষেত্র হোক পবিত্র অঙ্গন বিদায়টা হোক সম্মানের।  ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতির কথা জানিয়েছে ইসরাইল।

জুনিয়রদের শিক্ষার অভাব, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের দায়ী করলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান 

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

জুনিয়রদের শিক্ষার অভাব, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের দায়ী করলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা ঃ ১২ আগস্ট, ২০২৩
আইনপেশায় জুনিয়রদের যে শিক্ষার অভাব সেটার জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের দায়ী করলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ‘ল’জ অন লিগ্যাল প্রাকটিশনারস ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, এখানে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (অ্যাটর্নি জেনারেল) আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন আছেন। বার কাউন্সিলের অধীনে হাইকোর্ট পারমিশনের ভাইভা নিচ্ছি (চলমান)। মানের (নতুন আইনজীবীরা) দিক থেকে অত্যন্ত কম মানের। এতো কম মানের অ্যাডভোকেট হলে তো মুশকিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে আমার সামনে অনেকে বসে আছেন যাদের অনেকে অনেকদিন ধরেই প্র্যাকটিস (সুপ্রিম কোর্টে) করছেন। আপনাদের সঙ্গে অনেকেই আর্টিকেলশিপ (জুনিয়র আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস) করেন। আপনাদের সঙ্গে কোর্টে ঘোরাঘুরি (প্র্যাকটিস) করেন। আমরা যখন তাদের সিনিয়রের নাম জানতে চাই তখন তারা আপনাদের (সিনিয়রদের) নাম বলে। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করি (ভাইভা বোর্ডে), তুমি কোন কোর্টে গিয়েছো কী শিখেছো? তখন তারা বিচারকদের নাম বলতে পারে না (জজ সাহেবের নাম) বলে না, কোর্টের নম্বর বলে, জজ সাহেবের নাম বলতে পারে না। সুতরাং এই যে শিক্ষার অভাব এ জন্য আপনাদের (সিনিয়র আইনজীবীদের) কিছু না কিছু দায় রয়েছে।
এ সময় সিনিয়রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে যারা আসবে তাদের শেখাবেন। নয়তো আপনাদের যেমন বদনাম হবে, তেমনি কম জানা মানুষ যদি সুপ্রিম কোর্টে এসে ওকালতি করেন, তাহলে কী হবে আমাদের ভবিষ্যতের অবস্থা?

সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারপতি বলেন, আপনাদের সঙ্গে যারা কাজ করবে তারা দীর্ঘদিন এই কোর্ট দিয়ে হাঁটবে। এই হাঁটার সময় তারা সারাজীবনই কি স্লোগান দেবে নাকি শুধু ভাঙচুর করবে? নাকি লেখাপড়া শিখবে? নাকি কোর্টকে সহযোগিতা করবে? এর দায়-দায়িত্ব আপনাদের (সিনিয়র আইনজীবী) নিতে হবে।

আইনপেশা সম্পর্কে নিজের বিশ্লেষণ তুলে ধরে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়ার জন্য জজ হয়েছিলাম। এতো পড়তে হয় আইনজীবীদের! ভাবলাম জজ হয়ে যাই। জজ হলাম। সেখানে গিয়ে দেখি আরও বিপদ। জজ হিসেবে আপনার মার্ক ধরে রাখতে পড়তেই হবে। বই পড়ার একটি সুবিধাও আছে। সাহায্য পাওয়া যায়। আইনজীবী যদি ভালো হন তাহলে সাহায্য আরও পাওয়া যায়।

এসময় মোড়ক উন্মোচিত করা বইটির বিষয়ে ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট