তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর দাবিতে আপিল শুনানি শুরু
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা : ২১ অক্টোবর ২০২৫
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর দাবিতে আপিল শুনানি শুরু
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দায়ের করা একাধিক আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির এই বেঞ্চ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কার্যক্রম শুরু করে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির পর গত ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমতি দেয় আদালত। এর ধারাবাহিকতায় একাধিক পক্ষ আপিল করেন।
তাদের মধ্যে আছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম হাফিজউদ্দিন খান, প্রশাসন ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং গবেষক জাহরা রহমান।
এছাড়া রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও পৃথকভাবে আপিল করেছেন। আরেকটি আবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন, যিনি নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পটভূমিতে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন। হাইকোর্ট ২০০৪ সালে রায় দিয়ে সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চাওয়া হলে, ২০০৫ সালে আপিল গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ। পরে ২০১১ সালের ১০ মে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর সংসদে ২০১১ সালের ৩০ জুন পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়। ৩ জুলাই প্রকাশিত হয় সংশ্লিষ্ট গেজেট।
তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর, পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালুর দাবিতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।