1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রায় ও আদেশ যথাসময়ে অধস্তন আদালতে পাঠানোর নির্দেশ পবিত্র আশুরা ৬ জুলাই মিথ্যা মামলা ও অযৌক্তিক গ্রেফতার ঠেকাতে বিধান করছে সরকার : আসিফ নজরুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক শুধু বিনোদনের নয়, আয় ও প্রচারের প্ল্যাটফর্মও। ঐতিহ্যবাহী সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট  এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। একইসঙ্গে ফল প্রকাশে বিলম্ব যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত কর্মক্ষেত্র হোক পবিত্র অঙ্গন বিদায়টা হোক সম্মানের।  ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতির কথা জানিয়েছে ইসরাইল।

ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে গণতন্ত্রের চর্চা ও প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে গণতন্ত্রের চর্চা ও প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :১৬ জুন ২০২৩।
বিচারালয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারলে তবেই দেশে সঠিক গণতন্ত্র চর্চা ও প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিদায়ী বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
তিনি বলেন, সমাজে কোনো কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণি এ সত্যকে মেনে না নিয়ে বিচার বিভাগেও বিচারকাজে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টায় লিপ্ত। যা দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য বাধা। কোনো কোনো মামলায় বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগে বিচারিক কর্মজীবনের শেষ দিনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান একাত্তরে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ এলাকায় সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত এবং ১৯৮৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
পরবর্তীকালে ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগে অস্থায়ী বিচাপতি হিসেবে নিয়োগ এবং দুই বছর পর স্থায়ী হন। ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর তিনি আপিল বিভাগে নিয়োগ পান। ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তার শেষ কর্মদিবস হবে আগামী ৩০ জুন। কিন্তু তিনি হজে যাওয়ার কারণে ১৫ জুন ছিল তার শেষ কর্মদিবস।
বিদায়ী বিচারপতি নূরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি স্বাধীনতার জন্য দেশবাসীর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ প্রত্যক্ষ করেছি, নিজেও সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং আমাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুত্ব সেই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি নিজেই অনুভব করেছি। বিচার বিভাগে কাজের মাধ্যমে সেই লড়াই চালিয়ে যাওয়া আমার সৌভাগ্যের বিষয়, যেখানে আমি আইনের সামনে ন্যায়, ন্যায্যতা এবং সমতার নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করেছি।
ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রচর্চার বিষয়ে এ বিচারপতি বলেন, আমি আমার আইনজীবী ও বিচারিক অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করেছি, বিচারালয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই দেশে সঠিক গণতন্ত্রচর্চা ও প্রতিষ্ঠা সম্ভব। কিন্তু সমাজে কোনো কোনো ব্যক্তি বা শ্ৰেণি এ সত্যকে মেনে না নিয়ে বিচার বিভাগেও বিচারকাজে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টায় লিপ্ত। যা দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য বাধা হয়ে ওঠে। তবে এ কথাও সত্য যে, বিচারকদেরও সত্য উপলব্ধি করে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়ে কাজ করতে হবে।
আইনজীবী সমিতি নিয়ে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মো. নূরুজ্জামান বলেন, সবাই মিলে আইনজীবী সমিতিগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করে বিচারাঙ্গনকে আইনচর্চার চারণভূমি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই আইন অঙ্গন ও বিচারালয় শক্তিশালী ও পবিত্র হবে।
তিনি বলেন, বিচারালয়ে আইনজীবীরা যদি যোগ্য ও সৎ হন, তবে বিচারক ও আদালতের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা অসৎ থাকতে পারবেন না ।
বিদায়বেলায় তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন ও সংবিধানের সমুন্নত ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট