1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত কর্মক্ষেত্র হোক পবিত্র অঙ্গন বিদায়টা হোক সম্মানের।  ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতির কথা জানিয়েছে ইসরাইল। বিএনপির করা একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  সাবেক সিইসি নুরুল  হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সকল ফ্লাইট বাতিল।  দক্ষতা সব যুগেরই বড় সম্পদ।যে মানুষ দক্ষ, সে কখনোই পিছিয়ে পড়ে না। রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানো সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান প্রশ্নে রুলের শুনানি আগামী ৭ জুলাই। আজ ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধের ২৬৮ বছর. হারানো বা অতিরিক্ত সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করবেন কি ভাবে?

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলাকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলাকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তা:৫ এপ্রিল ২০২৩।

 

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নেভানোর ধীরগতির অভিযোগ এনে এক দল ব্যবসায়ী ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে এরইমধ্যে হামলাকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুব শিগগির গ্রেফতার করা হবে।
বুধবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, ডিএমপির অপরাধ বিভাগ, পুলিশ সদর দফতর ও দুটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলাকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সদর দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুধবার (৫ এপ্রিল) সারাবাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে, ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে যারা হামলা করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এরকম দুঃসাহস দেখাতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাসহ পুলিশ মাঠে নেমেছে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে। ‍চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে মূলত কারা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা সবাই ব্যবসায়ী নাকি উৎসুক জনতাও রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলাকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলাকারীদের শনাক্তে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ যাচাই বাছাই করে হামলায় নেতৃত্ব দাতাকে খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া যারা হামলা চালিয়েছে, পুলিশকে মারধর করেছে, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে তাদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে।
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে নেমেছে। তারা কাজ করছে। কারা হামলা চালিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল তা খোঁজা হচ্ছে। খুব শিগগির হামলাকারীদের শনাক্ত শেষে গ্রেফতার অভিযান চালানো হবে।
এদিকে গ্রেফতার অভিযানের তথ্য পেয়ে ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলছেন, এক আগুনে বঙ্গবাজারের সকল ব্যবসায়ীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভস্মীভূত হয়ে গেছে সবকিছু। ঈদের আগে পাইকারী মার্কেটে যে বেচাবিক্রি হতো সেই টাকাও কেউ বের করতে পারেনি। তারমধ্যেই ব্যবসায়ীদের ওপর যদি এরকম গ্রেফতার অভিযান চালানো হয় তাহলে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ এছাড়া আর কিছুই বলার নেই।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলাকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ
পুড়ে যাওয়া মা শাড়ী ঘরের মালিক ওবায়দুল কবির বলেন, আগুন ৬টা ১০ মিনিটে লাগে। যেখানে আগুন লেগেছে সেখান থেকে কয়েক হাতের দূরত্বে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর। দুই মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস চলে আসে। কিন্তু গাড়িতে পানি ছিল না।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ফায়ার এক্সটিংগুইসার’ বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। পরবর্তীতে পানির গাড়ি আনা হলেও ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হেলিকপ্টার এসে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। হেলিকপ্টার দিয়ে পানি এনে আগুনে না দিয়ে পুলিশের ভবনে ফেলা হয়। সবকিছু মিলে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। এখন তাদের গ্রেফতার করা হলে কি করবে তারা?
পুড়ে যাওয়া এশিয়ান গার্মেন্টসের মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস চাইলে আগুন শুরুতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারত। কারণ অন্য জায়গায় আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় লাগে। এতে আগুন অনেকখানি ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না। অথচ বঙ্গবাজারের আগুন লাগার পর মাত্র দুই মিনিটেই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের প্রধান ফটকে আগুন অথচ নেভাতে পারল না। তাই সাধারণ ব্যবসায়ীরা ওই সময় ক্ষুব্ধ ছিল। এখন তাদের হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হলো। সাধারণ ব্যবসায়ীরা কি করবে আপনারাই বলে দেন। আমাদের তো সবই গেছে। ঈদের আগে সবাই বউ-বাচ্চা নিয়ে আনন্দ করবো অথচ আমরা পোলাপানদের ডাল-ভাতও খাওয়াতে পারব না। অন্যদিকে ব্যাংক ঋণ কিভাবে পরিশোধ হবে তা রীতিমত দিশেহারা ব্যবসায়ীরা।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলাকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ
ব্যবসায়ীদের এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, গাড়িতে পানি ছিল না এরকম তথ্য সঠিক নয়। যেহেতু পানির গাড়ি বঙ্গবাজারের মতো ঘিঞ্জি দোকানের গলিতে ঢুকতে পারে না তাই ‘ফায়ার এক্সটিংগুইসার’ নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রত ছড়িয়ে পড়েছে।
আর আগুন নেভাতে না পারলেই কি সদর দফতরে হামলা করতে হবে, ফায়ার ফাইটারদের মারধর করতে হবে, পুলিশের গাড়িতে হামলা করতে হবে? এটা কেন হবে? কিন্তু তার আগে আমরা যে ১০ বার নোটিশ দিয়েছিলাম-এই মার্কেট অতি ঝুঁকিপূর্ণ। তখন আপনারা আমলে নিলেন না কেন? বারবার বলার পরও আপনারা শুনলেন না বরং হাইকোর্টে গিয়ে আমাদের নির্দেশনাকে স্থগিত করে দিলেন?
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলাকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ
উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। হানিফ ফ্লাইওভারের দিকে আদর্শ মার্কেট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ফায়ার সার্ভিসের ৫০ টি ইউনিটের চেষ্টা সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্ত ততক্ষণে বঙ্গবাজারের চিহ্ন বলতে কিছুই বাকী থাকেনি। ধংসস্তূপ আর ভস্মীভূত ছাড়া কিছুই দেখা যায় না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে জানা যায়, ১৯৬৫ সালের দিকে ঢাকার ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন কমলাপুরে চলে গেলে ডোবা জায়গা ভরাট করে বানিজ্য শুরু হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবাজার নামে মার্কেট নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৫ সালের দিকে বঙ্গবাজারের জমি সিটি করপোরেশনের অধীনে চলে যায়। ২০১৮ সালে জরিপ করে ২০১৯ সালে অতি ঝুকিপূর্ণ বিবেচনায় বঙ্গ মার্কেট ভেঙে ফেলতে বলা হয়।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট