1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

বহু বছর ধরে ধাবায় বাসনপত্র পরিষ্কার করে কাটিয়েছেন তার সাথে সাথে অদম্য সাহিত্যচর্চায় হলধর নাগ সাহিত্যের বিশেষত্বের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পদক রাষ্ট্রপতি তাকে সাহিত্যের জন্য পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করেন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

বহু বছর ধরে ধাবায় বাসনপত্র পরিষ্কার করে কাটিয়েছেন তার সাথে সাথে অদম্য সাহিত্যচর্চায় হলধর নাগ সাহিত্যের বিশেষত্বের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পদক রাষ্ট্রপতি তাকে সাহিত্যের জন্য পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করেন। 

বিশেষ প্রতিবেদন,আদালত বার্তাঃ৩ এপ্রিল ২০২৪।

বহু বছর ধরে ধাবায় বাসনপত্র পরিষ্কার করে কাটিয়েছেন তার সাথে সাথে অদম্য সাহিত্যচর্চায় হলধর নাগ সাহিত্যের বিশেষত্বের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পদক রাষ্ট্রপতি তাকে সাহিত্যের জন্য পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করেন।

যেকোনো কাজে অদম্য চেষ্টা শক্তি কাজে লাগালে সেই কাজে সাফল্য অবশ্যই আসবে তারই উৎকষ্ট উদাহরণ ভারতের হলধর নাগ।যার জীবনটাই ছিল না পাওয়ার মাঝে।শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। পিতা মাতার না থাকায় আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে যার পড়ালেখা করা সম্ভব হয়নি।    কিন্তু তিনি তার অধম্য চেষ্টা শক্তি কাজে লাগিয়ে জয় করেছেন নিজেকে সাহিত্যে চর্চায় যিনি নিবিড় ভাবে নিজেকে নিয়োজিত রেখে  কোসলি ভাষায় কবিতা লিখে  যিনি  কোসলি ভাষার বিখ্যাত কবি হয়েছেন। 

তিনি যখন ভারতের সর্বোচ্চ এই পদকটি প্রাপ্ত হন তখন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যখন তাকে বলা হয় তখন তিনি  বলেন সাহেব-দিল্লি পর্যন্ত যাওয়ার পয়সা নেই, দয়া করে ডাকযোগে পুরস্কার পাঠিয়ে দিন! হলধর নাগ, যার নামের আগে কখনও শ্রী লাগেনি, খান তিনেক জামা, একটি ছেঁড়া রাবার চপ্পল, একটা অ-খিলানযুক্ত চশমা এবং ৭৩২ টাকার জমা মূলধনের মালিক…..আজ পদ্মশ্রী ঘোষিত। ইনি হলেন পশ্চিম ওড়িশার বাসিন্দা হলধর নাগ।

যিনি কোসলি ভাষার বিখ্যাত কবি। বিশেষ কথা হল, তিনি এ পর্যন্ত যতগুলো কবিতা ও ২০টি মহাকাব্য রচনা করেছেন, তার সবগুলোই তার জিহ্বার ডগায়। এবার তাঁর লেখা ‘হলধর গ্রন্থাবলী-২’-এর একটি সংকলন সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসের অংশ করা হবে। সাদা পোশাক, সাদা ধুতি, গামছা ও গেঞ্জি পরিহিত হলধর নাগ খালি পায়েই থাকে্ন। উড়িশ্যার লোক-কবি হলধর নাগ একটি দরিদ্র পরিবারের মানুষ। ১০ বছর বয়সে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তৃতীয় শ্রেণিতেই পড়া ছেড়ে দেন তিনি। অনাথ জীবনে, তিনি বহু বছর ধরে ধাবায় বাসনপত্র পরিষ্কার করে কাটিয়েছেন।

পরে একটি স্কুলে রান্নাঘর দেখাশোনার কাজ পান তিনি। কয়েক বছর পরে ব্যাঙ্ক থেকে ১০০০ টাকা ঋণ নিয়ে পেন-পেনসিল ইত্যাদির একটি ছোট দোকান খোলেন সেই স্কুলের সামনেই। এটাই ছিল তার আর্থিক অবস্থা।

এবার আসা যাক তাঁর সাহিত্যের বিশেষত্বে। ১৯৯৫ সালের দিকে হলধর স্থানীয় ওড়িয়া ভাষায় “রাম-শবরী” র মতো কিছু ধর্মীয় পর্বের উপর লেখালেখি শুরু করেন এবং মানুষকে সেগুলো আবৃত্তি করে শোনাতে শুরু করেন।
আবেগে ভরপুর কবিতা লিখে মানুষের মধ্যে জোর করে উপস্থাপন করে তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রপতি তাকে সাহিত্যের জন্য পদ্মশ্রী দেন।

শুধু তাই নয়, ৫ জন গবেষক এখন তার সাহিত্যে পি.এইচ.ডি করছেন যেখানে হলধর নিজেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট