বাবা নিজের পছন্দ বিসর্জন দেন সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য।বাবার এই ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা জানানোই সন্তানের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক সম্পাদক আদালত বার্তাঃ১৫ জুন ২০২৫
জীবনের প্রতিটি পরতে আমরা মায়ের ভালোবাসা খুঁজে পাই চোখে পড়ার মতোভাবে। মা আমাদের জড়িয়ে রাখেন আদরে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুঃখ ভাগ করে নেন। কিন্তু বাবার ভালোবাসা যেন নিঃশব্দ এক স্রোত, যা প্রবাহিত হয় গভীরতর অনুভবে—অদৃশ্য, অথচ অমূল্য।
বাবা সবসময় হয়তো মুখে বলেন না, “তোমাকে ভালোবাসি”, বা সন্তানকে জড়িয়ে ধরে চোখের জল ফেলেন না। কিন্তু প্রতিটি সকালে ঘুম ভাঙার আগে যে মানুষটা ঘর থেকে বেরিয়ে যান রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে—তিনি বাবা। সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে, তাদের চাহিদা পূরণ করতে, জীবনের লড়াইয়ে একফোঁটা ক্লান্তি না দেখিয়ে যিনি সব ক’ষ্ট হাসিমুখে বয়ে বেড়ান, তিনিই সেই গোপন প্রেমিক—বাবা।
বাবা নিজের পছন্দ বিসর্জন দেন সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য। হয়তো নতুন জামা তিনি নিজের জন্য কেনেন না, কিন্তু সন্তানের জন্য সেরা জামাটি কিনে আনেন নিঃসন্দেহে। সন্তানের পড়ালেখা, চিকিৎসা, খেলাধুলা, স্বপ্ন—সবকিছুর পেছনে একজন বাবার অগাধ ত্যাগ লুকিয়ে থাকে।
কখনও সন্তান দেরিতে বাসায় ফিরলে, হয়তো তিনি জিজ্ঞেস করেন না কিছু, কিন্তু চোখের গভীরে লুকিয়ে থাকে শত চিন্তার ছায়া। সন্তান কষ্ট পেলে হয়তো তিনি কিছু বলেন না, কিন্তু নিজের মনে হাজারবার ভেঙে পড়েন।
এই নিঃশব্দ ভালোবাসাই বাবার সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। তার ভালোবাসা এমন এক আশ্রয়, যা আমরা বুঝি তখনই, যখন নিজেই বড় হয়ে যাই, যখন নিজের কাঁধে চাপে জীবনের দায়িত্ব।
শেষ কথা, বাবার ভালোবাসা হয়তো খুব বেশি শব্দে প্রকাশিত হয় না, কিন্তু তা অনুভব করা যায়—তার শ্রমে, ত্যাগে, চাহনিতে আর নিরব উপস্থিতিতে। তাই বাবার এই গোপন ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের সন্তানের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।