1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পিআর নির্বাচন পদ্ধতি কী? প্রচলিত ব্যবস্থার সঙ্গে পার্থক্য কোথায়। এইচএসসি: পরীক্ষার হলে যে কৌশলে ইংরেজি প্রথম পত্র বিষয়ে ভালো করা সম্ভব দুইশ বছরের পুরনো ছোট সমুদ্রগামী পাল তোলা জাহাজটি পর্তুগীজদের ব্যবহৃত পাল তোলা ছোট্ট জাহাজ। ছাত্রজীবনে আয় করার সহজ ১০টি উপায়নি জাতীয় ফল কাঠালে যে সমস্ত পুষ্টিগুণ  এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে সকাল সাড়ে ৮টায় বার বার পড়ে যে দাড়াতে জানে জয তারই হয়। বিমান ভাড়া ছাড়াই বাংলাদেশি কৃষক নিতে চায় আলজেরিয়া, দেওয়া হবে জমি ও বিদ্যুৎ-সুবিধা চীনের এআই দৌড়ে Zhipu AI-এর উত্থান: ডিপসিক নয়, নতুন হুমকি দেখছে ওপেনএআই এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য চরম দুঃসংবাদ, বাতিল হচ্ছে এই প্রথাও!

বার বার পড়ে যে দাড়াতে জানে জয তারই হয়।

এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

বার বার পড়ে গিয়েও যে দাড়াতে জানে জয় তারই হয়।

এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক,সম্পাদক, আদালত বার্তাঃ২৮ জুন ২০২৫।

শচীন টেন্ডুলকার, যাকে ক্রিকেট ঈশ্বর বলা হয়, তিনি আউট হয়েছেন যতবার, আপনি হয়তো জীবনে ততবার ব্যাটও ধরেননি। কিন্তু তিনিই হয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের এক নক্ষত্র—কারণ তিনি হার মানেননি। তাই প্রশ্ন নয়, অনুপ্রেরণা খুঁজুন।

মার্ক জুকারবার্গ যখন প্রেমিকাকে হারালেন, তখন তিনি ভেঙে পড়েননি। বরং সেই কষ্টকে রূপ দিলেন এক বিশাল আবিষ্কারে—ফেসবুক। আজ তিনি শুধু একজন টেক উদ্যোক্তা নন, তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন। আপনি হলে হয়তো হতাশায় নিজেকে নিঃশেষ করতেন। কিন্তু সফলতার পথ তৈরি হয় এমনই অদ্ভুত ঘটনাগুলো থেকেই।

টমাস আলভা এডিসন, বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কারের আগে ৯৯৯ বার ব্যর্থ হন। কিন্তু তিনি থেমে যাননি। কারণ তিনি জানতেন, একদিন ঠিকই আলো জ্বলবে। যদি এডিসন ব্যর্থতাকে ভয় পেতেন, তাহলে আজ হয়তো পৃথিবী অন্ধকারেই থাকত। অথচ আপনি একটি পরীক্ষায় ফেল করলেই ভাবেন, ‘আমার দ্বারা আর হবে না!’ এটা নয়, নিজেকে জিজ্ঞেস করুন—”আমি আবার চেষ্টা করব তো?”

রাইট ভ্রাতৃদ্বয় আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সাইকেলের গ্যারেজে বসে। হাজারবার ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু একবার সফল হতেই বদলে গেছে মানব সভ্যতার গতি। আকাশে উড়ছে বিমান, উড়ছে মানুষের ইচ্ছাশক্তি। কারণ তারা হার মানেননি। আপনি হয়তো এখনও ভালো করে আকাশে পাখির উড়াও দেখা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু তাও দোষ পাখির নয়—দোষ আপনার ইচ্ছার অভাবে।

জীবন কোনো সরলরেখা নয়। এখানে উত্থান আছে, পতন আছে। তবে পতনের পরও যারা উঠে দাঁড়ায়, তারাই জয়ী হয়। ছোটবেলায় আপনি হাঁটতে শেখার সময় বহুবার পড়ে গেছেন। কিন্তু দেয়াল ধরে উঠে দাঁড়িয়েছেন, হাঁটতে শিখেছেন। এখন কেন ভয়?

জীবন এমন এক যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। কখনও সেই পরীক্ষা আসে ব্যর্থতার ছায়ায়, কখনও হতাশার অন্ধকারে। কিন্তু মনে রাখবেন, ইতিহাসের প্রতিটি সফল মানুষও একসময় ছিলেন অচেনা, উপহাসের পাত্র, কিংবা হার মানা এক সাধারণ মানুষ। পার্থক্য ছিল একটাই—তারা থেমে যাননি।

জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য হলো, শুরুটা আপনাকেই করতে হবে। কেউ এসে আপনার হাত ধরে বলবে না, “চলো তুমি পারবে।” আপনাকেই নিজের মনে সেই প্রতিজ্ঞা করতে হবে—”আমি থামব না, যতদিন না জিতি।”

সফলতা কোনো যাদুর গল্প নয়, এটা কঠোর পরিশ্রম আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির ফল। আপনার জন্ম জেতার জন্যই। তাই ব্যর্থতা আসবেই, কিন্তু সেটাই শেষ নয়। নিজেকে বলুন, “হারব না, থামব না, আমিও পারব।” একদিন ঠিকই জিতে যাবেন—কারণ আপনার রক্তে আছে সম্ভাবনা, আর মনে আছে আগুন!

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট