1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতির কথা জানিয়েছে ইসরাইল। বিএনপির করা একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  সাবেক সিইসি নুরুল  হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সকল ফ্লাইট বাতিল।  দক্ষতা সব যুগেরই বড় সম্পদ।যে মানুষ দক্ষ, সে কখনোই পিছিয়ে পড়ে না। রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানো সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান প্রশ্নে রুলের শুনানি আগামী ৭ জুলাই। আজ ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধের ২৬৮ বছর. হারানো বা অতিরিক্ত সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করবেন কি ভাবে? বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের মেঘনা নদীর ইলিশে পাওয়া গেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা।

মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীরা আছেন মামলা আতঙ্কে। এরই মধ্যে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে শতাধিক হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নামও রয়েছে। এসব মামলা ও হামলার ভয়ে দলটির অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
শুধু মূল দল নয়, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারাও লাপাত্তা। তবে, আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরাও ভয়ে আছেন বলে বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীও ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার ছোট বোন শেখ রেহেনাও তার সঙ্গী হন। সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তার দেশছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবসান ঘটে আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসন।
এরপর পাল্টাতে থাকে সার্বিক চিত্র। কেন্দ্রীয় নেতারা চলে যান আত্মগোপনে। শুরু হয় মামলা, গ্রেপ্তার হচ্ছেন অনেকে। আবার অনেকের বাসা-বাড়ি, অফিস কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে করা হচ্ছে হামলা, লুট করা হচ্ছে সর্বস্ব। এসব দেখে ভয়ে দিন পার করছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দলটির নেতাকর্মীরা।

দলটি নেতাকর্মীরা বলেন আমরা এখন নিজেদের সেভ করার চেষ্টা করছি। মামলা-হামলা থেকে বাঁচতে অনেক সময় আত্মগোপনে যেতে হয়। কর্মীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। আমাদের বাড়ি-ঘর নিরাপদ না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও নিরাপদ না। ঝুঁকি নিয়ে আত্মগোপনে আছি। আমাদের এক নেতা তো হামলা-মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিক মামলা হচ্ছে। আমরা কর্মীদের নিয়ে বেশি চিন্তিত
আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
হাসিনা-কাদেরেই আস্থা, আপাতত নিশ্চুপ থাকার কৌশল
আপাতত নিশ্চুপই থাকতে চায় আওয়ামী লীগ
মাঠে নামে ছাত্রলীগ করা কর্তারা, শেষ সময়ে নিয়ন্ত্রণে ছিল না পুলিশ
নাম প্রকাশ না করে আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা এখন নিজেদের সেভ করার চেষ্টা করছি। মামলা-হামলা থেকে বাঁচতে অনেক সময় আত্মগোপনে যেতে হয়। কর্মীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। আমাদের বাড়ি-ঘর নিরাপদ না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও নিরাপদ না। ঝুঁকি নিয়ে আত্মগোপনে আছি। আমাদের এক নেতা তো হামলা-মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিক মামলা হচ্ছে। আমরা কর্মীদের নিয়ে বেশি চিন্তিত।”

দলীয় সূত্র মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ঘরছাড়া রয়েছেন। তারা নিজেদের আত্মগোপনে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে, পরিবার-পরিজনরা দিন-রাত আতঙ্কের মধ্যে থাকছেন; কখন কী হয়! উপজেলা বা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতারা ঘর ছাড়া রয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অনেকে সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ৬২৬ জনকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেখান থেকে বের হয়ে রাজনৈতিক নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ দেশে আবার কেউ পাশের দেশ ভারতে পাড়ি জমান।

শুধু মূল দল নয়, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারাও লাপাত্তা। তবে, আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরাও ভয়ে আছেন বলে বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন
‘আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়’
‘আওয়ামী লীগের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি’র চিঠিটি গুজব
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিদিনই মিথ্যা মামলা হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। মামলার বিষয়ে পরিস্থিতি বুঝে আমরা আইনি লড়াইয়ে যাব। হয়তো একটু সময় লাগবে। আপাতত নেতাকর্মীদের নিরাপদ স্থানে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

‘আমাদের কোনো নেতাকর্মী বাড়িতে থাকতে পারছেন না। একদিকে, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের হামলার ভয়, অন্যদিকে মামলার ভয়।’

নাম প্রকাশ না করে কুমিল্লার সাবেক এক সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমরা ঘরছাড়া সন্ন্যাসী। নিজের ঘরে থাকতে পারছি না। একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমি কাউকে কোনো দিন একটা খারাপ কথা বলিনি। এখন আমার নামে হত্যা মামলা হচ্ছে। আমার চেয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা বেশি ভয়ে আছেন। কখন তাদেরও মামলায় জড়ানো হয়। দিন-রাত টেনশনে থাকতে হচ্ছে।’
এখন পর্যন্ত শতাধিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান; আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি; দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত; আওয়ামী লীগ সরকারে সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

আমরা ঘরছাড়া সন্ন্যাসী। নিজের ঘরে থাকতে পারছি না। একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমি কাউকে কোনো দিন একটা খারাপ কথা বলিনি। এখন আমার নামে হত্যা মামলা হচ্ছে। আমার চেয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা বেশি ভয়ে আছেন। কখন তাদেরও মামলায় জড়ানো হয়। দিন-রাত টেনশনে থাকতে হয়।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট