1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতির কথা জানিয়েছে ইসরাইল। বিএনপির করা একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  সাবেক সিইসি নুরুল  হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সকল ফ্লাইট বাতিল।  দক্ষতা সব যুগেরই বড় সম্পদ।যে মানুষ দক্ষ, সে কখনোই পিছিয়ে পড়ে না। রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানো সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান প্রশ্নে রুলের শুনানি আগামী ৭ জুলাই। আজ ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধের ২৬৮ বছর. হারানো বা অতিরিক্ত সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করবেন কি ভাবে? বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের মেঘনা নদীর ইলিশে পাওয়া গেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা।

সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট।

এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ১৩ মার্চ ২০২৫

জামালপুর: দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট ছিল অন্যতম। দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ রাস্তা ছিল এটি। যমুনা নদীর বাম তীর ঘেঁষে জামালপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল বাহাদুরাবাদ ঘাট, অপর প্রান্ত নদীর ডান তীরে ছিল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ঘাট।

গাইবান্ধার প্রান্তে ঘাটের স্থান পরিবর্তন হয়েছিল বেশ কয়েকবার নদীর নাব্যতার কারণে। কিন্তু বাহাদুরাবাদ ঘাটে এ সমস্যা ছিল না। নাব্যতার সংকট দেখা দিলে পন্টুন সরিয়ে কার্যক্রম ঠিক রাখা যেত ঘাটের। এতে করে রেললাইনের কোন পরিবর্তন করা লাগতো না। অপরপ্রান্তের গাইবান্ধার ভরতখালি কঞ্চিপাড়া রেলওয়ে স্টেশন হারিয়ে গেলেও রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ স্টেশনটি এখনো ঐতিহ্য বহন করছে কালের সাক্ষী হয়ে।

বাদুরাবাদ ঘাটকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্য,কর্মসংস্থান হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের, রেলওয়ের স্টীমার ঘাটসহ রেললাইনের দুই পাশে দিয়ে ছিল দোকানপাট। ভাতের হোটেল থেকে শুরু করে, ফলমূলের দোকান, কনফেকশনারী, কী ছিল না বাহাদুরাবাদ ঘাটে? তখনকার ভাতের হোটেলগুলি বেশ সমাদৃত ছিল।

আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে তিস্তা আর একতার যা বর্তমান ব্রহ্মপুত্র নামে চলে এই রুটে, ফেরী সংযোগ ছিল এই দুটি ট্রেনের জন্য, ট্রেন দুটি প্রথমের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে এসে, যাত্রা বিরতিহীন ভাবে এসে থামতো বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটে, সে কারণেই হয়তো দেশের উত্তরে জেলার মানুষের মাঝে জনপ্রিয় ছিলো এই রাস্তাটি।

১৯৯৮ সালে যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলে কালক্রমে এই রুটের চাহিদা কমতে শুরু করে উত্তরাঞ্চলের মানুষের কাছে। ট্রেন থেকে ফেরি, ফেরি থেকে ট্রেন এভাবে পরিবর্তন করে গন্তব্যে যাওয়ার চেয়ে সেতু রোডে সরাসরি গন্তব্যে যাওয়া স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে উত্তর অঞ্চলের মানুষ। এর প্রভাব পড়তে শুরু করে বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটে। ২০০৩ সালে সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে কালপরিক্রমায় যাত্রী ফেরী সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বাহাদুরাবাদ ঘাটে। এরপর আস্তে আস্তে ভাঙতে থাকে যমুনার বাম তীর, একসময় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট। বেকার হয়ে পড়ে ফেরিঘাটে সকল প্রকার ব্যবসায়ী সহ শ্রমিকেরা, আজও তারা খুঁজে ফেরে সেই ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট