সম্প্রতি ব্রডব্যান্ডের চেয়ে ৪৫ লাখ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট চালিয়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন গবেষকরা।
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ১৫ জুন ২০২৪।
সম্প্রতি ব্রডব্যান্ডের চেয়ে ৪৫ লাখ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট চালিয়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন গবেষকরা। প্রতি সেকেন্ডে ৩০১ টেরাবিট বা নয় হাজার এইচডি সিনেমার সমতুল্য ডেটা পাঠাতে প্রচলিত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেই নতুন এ রেকর্ড গড়েছে ‘অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটি অফ বার্মিংহাম’-এর বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দল।
এ গতিতে, #IMDB এর তালিকাভুক্ত সবগুলো সিনেমা ডাউনলোড করতে সময় লাগবে কেবল এক মিনিট। সে তুলনায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘অফকম’-এর প্রতিবেদনে উঠে আসে, দেশটিতে ব্রডব্যান্ডের গড় গতি সেকেন্ডে ৬৯ দশমিক আট মেগাবিট। এ রেকর্ডভাঙা ডেটা আদান-প্রদানের হার অর্জিত হয়েছে নতুন ‘অপটিক্যাল প্রসেসিং’ ডিভাইস তৈরির মাধ্যমে। এতে বিভিন্ন এমন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ব্যান্ডউইথ সামনে এসেছে, যা এর আগে কখনও ফাইবার অপটিক সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়নি।
দ্রুতগতির ইন্টারনেটের জন্য ভোক্তাদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে গবেষকরা দাবি করেছেন, তাদের এই নতুন প্রযুক্তি ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহে সহায়ক হতে পারে। এদিকে, নতুন ফাইবার ও তারের ব্যবহার ছাড়াই ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর এ ক্ষমতাকে বাণিজ্যিক ইন্টারনেট গতি আপগ্রেড করার ‘ইতিবাচক’ উপায় হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
“মূল নেটওয়ার্কের ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষমতা বাড়ালে আমাদের এ পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের জন্য আরও উন্নত সংযোগ আনার উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে,” বলেন ‘অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক ওয়ালাডেক ফরিসিয়াক। “অপটিক্যাল ফাইবার প্রযুক্তির অগ্রগতি যে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক খাতে বিপ্লব ঘটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তা ফুটে উঠেছে যুগান্তকারী এ অর্জনে। এর মধ্যে রয়েছে দ্রুতগতির ও নির্ভরযোগ্য ডেটা আদান-প্রদানের মতো বিষয়গুলোও।”