এক সাথে কেন খাবেন?
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক, সম্পাদক, আদালত বার্তাঃ ১১ জুলাই ২০২৫
পরিবারের সবাই একসাথে খাবার খাওয়ার গুরুত্ব অনেক গভীর ও বহুমাত্রিক। এটি শুধু খাওয়ার একটি সময় নয়, বরং পারিবারিক বন্ধন, মূল্যবোধ এবং মানসিক স্বাস্থ্য গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
•
১. পারিবারিক বন্ধন মজবুত হয়।
একসাথে খাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সাথে কথা বলেন, দিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এটি পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহানুভূতি ও ভালোবাসা বাড়ায়।
২. সন্তানদের জন্য ইতিবাচক প্রভাব:
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত পরিবারের সাথে খায়, তারা স্কুলে ভালো করে, মানসিকভাবে সুস্থ থাকে এবং খারাপ অভ্যাস (যেমন মাদক, ধূমপান) থেকে দূরে থাকে।
এটি শিশুদের মধ্যে সামাজিক দক্ষতা ও ভালো আচরণ গড়ে তোলে।
৩. সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে।
পরিবারের সাথে খাওয়ার সময় পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। বাইরে খাবারের প্রতি আসক্তি কমে যায়।
৪. সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ শেখানো যায়।
এই সময়কে ব্যবহার করে শিশুকে ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ শেখানো যায়। এটি প্রজন্মান্তরে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের একটি উপায়।
৫. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
নিয়মিত একসাথে খাওয়ার অভ্যাস মানসিক শান্তি আনে। এটি একাকীত্ব ও বিষণ্নতা দূর করে।
৬. সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
পরিবারের মধ্যে কোনো সমস্যা থাকলে খাওয়ার সময় খোলামেলা আলোচনা করে সমাধান খোঁজার সুযোগ পাওয়া যায়।
•
পরিবারের সবাই একসাথে খাওয়া শুধু একটি অভ্যাস নয়, এটি একটি সামাজিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পথ। ব্যস্ত জীবনেও সপ্তাহে অন্তত কয়েকদিন এই অভ্যাস বজায় রাখলে পরিবার আরও সুসংগঠিত ও সুখী হতে পারে।