1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
- আদালত বার্তা
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেড় মাস পর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হচ্ছে নিয়মিত বিচারকাজ অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার সহজ উপায় যেসব কাগজপত্র না থাকলে হারাতে পারেন আপনার জমির মালিকানা!সতর্ক করল নতুন ভূমি আইন বাংলাদেশিদের জন্য শ্রীলঙ্কায় প্রবেশে নতুন নিয়ম, ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর রোববার থেকে নতুন সূচিতে চলবে মেট্রোরেল জামিন হওয়ার পর এক ক্লিকেই আদেশ চলে যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করনীয়  এমপি-মন্ত্রীরা পালাননি, প্রমাণ ১২০ জনের গ্রেপ্তার উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলি; জনমনে আতঙ্ক মেট্রোরেল ১ ও ৫ উত্তর লাইনের কাজ দ্রুত শুরু করতে জাইকার আহ্বান

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায়: আসামির পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা
ডেস্ক রিপোর্ট আদালত বার্তাঃ১৩ ডিসেম্বর ২০২২।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারাগারে থাকা মধু মিয়া তালুকদারের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ওই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিনের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। আর আসামি মধু মিয়ার বয়স এখন কম বলা হচ্ছে। অথচ ২০১৬ সালে নির্বাচনের সময় তার জন্ম দেখানো হয়েছে ১৯৫২ সালে। এছাড়া অভিযোগ স্বীকার করেই আসামি পক্ষ সাক্ষিকে জেরা করেছে।
আসামি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধা আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কেল আলী ও আশরাফ উদ্দিন বলেন, একাত্তর সালে মধু বাহিনী নামে কোনো বাহিনীর নাম শুনিনি। মধু মিয়া রাজাকার ছিলেন না।
জবানবন্দির এক পর্যায়ে তারা বলেন, যুদ্ধকালীন সময়ে মধু মিয়া তালুকদারের বাবা সুলতান মিয়া তালুকদার আমাদেরসহ আনুমানিক ২০০ মুক্তিযোদ্ধাকে গরু জবাই করে দাওয়াত খাওয়ান। ওই সময় মধু মিয়া তালুকদারের বয়স ছিল ৯/১০ বছর। সে (আসামি মুধ মিয়া) তখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
সাফাই সাক্ষ্য প্রদানকালে মুক্তিযোদ্ধা আক্কেল আলী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই মধু মিয়া তালুকদারকে চিনি। ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের শেষে এসে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। যুদ্ধকালীন সময়ে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা মধু মিয়া তালুকদারের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামেও যাতায়াত করতাম। তখন আমরা মধু বাহিনী নামে কোনো বাহিনীর নাম শুনিনি বা সে রাজাকার ছিল মর্মে কারো কাছ থেকে শুনিনি।
যুদ্ধকালীন সময়ে মধু মিয়া তালুকদারের বাবা সুলতান মিয়া তালুকদার আমাদের আনুমানিক ২০০ মুক্তিযোদ্ধাকে গরু জবাই করে দাওয়াত খাওয়ান। ওই সময় মধু মিয়া তালুকদারের বয়স ছিল ৯/১০ বছর। সে তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
এরপর আরেক মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকায় মধু বাহিনী নামে কোনো বাহিনী ছিল না বা সে রাজাকার ছিল না। সে ভালো লোক মর্মে আমিসহ ২৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মধু মিয়া তালুকদারের অনুকূলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট