1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট না করে, যেভাবে টাকা আয় করবেন নিজের পারসোনালিটি নিজেকে ধরে রাখতে হবে তার জন্য দুইটা জিনিস মনে রাখবেন একটা মাএ সন্তান, খুব যত্ন করে বড় করেছি —কক্সবাজারে নিখোঁজ  অরিএর  বাবা।  ফেসবুকে মনিটাইজেশন চালু করবেন কীভাবে, জানুন ধাপে ধাপে। মধ্যবিত্তদের জীবন চক্র আত্মত্যাগে গড়া এক অদৃশ্য যুদ্ধ! জীবন একটি চলমান যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয় টিকে থাকার জন্য কেন HSC শেষে বিদেশে উচ্চশিক্ষা শুরু করা উচিত?  বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সার্টিফিকেট সত্যায়িত যেভাবে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার “মাসের বড়া” জমির মালিকানা সূত্র কি কিভাবে হতে পারে?

মধ্যবিত্তদের জীবন চক্র আত্মত্যাগে গড়া এক অদৃশ্য যুদ্ধ!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

মধ্যবিত্তদের জীবন চক্র আত্মত্যাগে গড়া এক অদৃশ্য যুদ্ধ!

বিশেষ প্রতিবেদন,আদালত বার্তাঃ ৮ জুলাই ২০২৫।

মধ্যবিত্ত—শব্দটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে কিছু ক্লান্ত মুখ, যাদের স্বপ্ন আছে, কিন্তু সাধ্য সীমিত। সমাজের এমন এক শ্রেণি, যারা গরিব না—তাই সাহায্য পায় না, আবার ধনীও না—তাই আরামেও থাকতে পারে না। মধ্যবিত্তদের জীবন যেন একটি ঘূর্ণিপাক জীবনচক্র, যার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। এই চক্রে একবার ঢুকে গেলে জীবন যেন কেবলই চলতে থাকে, থামে না কখনো।

ছোটবেলা: স্বপ্নে রাঙা দিন
মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম মানেই ছোটবেলা থেকে শেখানো হয়, “সবচেয়ে ভালোটা করতে হবে, না হলে টিকতে পারবে না।” খেলাধুলার সময় নেই, প্রাইভেট, কোচিং, পরীক্ষার চাপ—এই নিয়েই শৈশব কেটে যায়। ঈদের নতুন জামা আসে, কিন্তু সেটাও সীমিত বাজেটে, অন্যেরটার সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে শিশুমনেই বুঝে যায়—”আমরা কিছুটা কমে আছি।”

যৌবন: দায়িত্বের বেড়াজালে হারিয়ে যাওয়া
যুবক বা যুবতী হবার সঙ্গে সঙ্গেই জীবনের ভার এসে পড়ে কাঁধে। স্নাতক শেষে চাকরি না মিললে পরিবারের চাপ, প্রতিবেশীর প্রশ্ন, আত্মীয়স্বজনের তিরস্কার—সব কিছু মিলে নিঃশ্বাস নেয়ারও ফুরসত থাকে না। একটা ভালো চাকরি পেলেই শান্তি নয়, বরং শুরু হয় “বাড়িতে টাকা পাঠাও”, “বোনের বিয়ে”, “মায়ের ওষুধ”, “ছেলের স্কুল ফি” ইত্যাদি দায়িত্বের পাহাড়।

বিবাহিত জীবন: স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা
বিয়ে করার পর মধ্যবিত্ত বুঝে—জীবনটা কতটা হিসেবি হতে হয়। বাসার ভাড়া, বাজারের খরচ, বাচ্চার স্কুল, বিদ্যুৎ বিল, চিকিৎসা খরচ—সব কিছু একা টেনে নিতে হয়। স্ত্রী হয়তো চাকরি করে না, করলেও তার আয়ে সংসার চলে না। কখনো কখনো দুজনেই চাকরি করেও দুই বেলা শান্তিতে খাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

বৃদ্ধকাল: ত্যাগের কোনো প্রতিদান নেই
একটা সময় আসে, যখন সন্তান বড় হয়, হয়তো ভালো চাকরি পায়। কিন্তু বাবা-মা তখন বৃদ্ধ। সংসারের জন্য সবকিছু বিলিয়ে দেয়ার পর এখন সময় পায় একাকিত্বের। সন্তান ব্যস্ত নিজের পরিবারে, সমাজ ব্যস্ত নিজের সুবিধায়। তখন সেই মধ্যবিত্ত বাবা-মা বসে থাকেন বারান্দায়, ভাঙা চেয়ারটায়, কারো ফোন আসার অপেক্ষায়।

এই জীবনচক্রের শেষ কোথায়?
মধ্যবিত্তের জীবনচক্র আসলে একটি নিঃশব্দ আত্মত্যাগের গল্প। তারা কাঁদে না, কিন্তু বোঝা বয়ে চলে। তারা চায় না বেশি কিছু, চায় শুধু সম্মান, একটু নিশ্চিন্ত ভবিষ্যৎ, আর একটি দিনের জন্য হলেও “চিন্তামুক্ত” জীবন।
এই প্রবন্ধটি তাদের জন্য, যারা সমাজের সব ভার মাথায় নিয়ে চলে, কিন্তু তবুও থেকে যায় আড়ালে—নীরবে, নিঃশব্দে, মাথা নিচু করে।

মধ্যবিত্তদের জীবন মানেই আত্মনিয়ন্ত্রণের মহাকাব্য। তারা আমাদের সমাজের মেরুদণ্ড। তাই তাদের প্রতি সম্মান দেখানো, বোঝার চেষ্টা করা এবং সাহায্যের হাত বাড়ানোই হোক আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট