1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করনীয়  - আদালত বার্তা
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করনীয়  এমপি-মন্ত্রীরা পালাননি, প্রমাণ ১২০ জনের গ্রেপ্তার উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলি; জনমনে আতঙ্ক মেট্রোরেল ১ ও ৫ উত্তর লাইনের কাজ দ্রুত শুরু করতে জাইকার আহ্বান মুঘল আমলে ঢাকার প্রবেশদ্বারে নির্মত দুর্গের ইতিহাস দেশের সব আদালতের অনলাইন কার্যতালিকা নিয়মিত হালনাগাদের নির্দেশ। মামলা চলাকালীন আপোষ-মীমাংসা করার আইনি প্রক্রিয়া ইসিকে পত্রিকা ও অনলাইন প্রতিনিধিরা গোপন নির্দেশনা নয়, নজরদারি ও সাইবার সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ  জীবনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা কেউ করে দেয় না, নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন : সরব আইনজীবীরা, নীরব এডহক কমিটি

বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করনীয় 

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে
যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করনীয় 

নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ ১১ অক্টোবর ২০২৫। 
বাংলাদেশে ভূমি মালিকদের জন্য এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা কাগজভিত্তিক দলিল ব্যবস্থাকে ছাড়িয়ে এবার পুরো দেশেই দলিল রেজিস্ট্রেশন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা ডিজিটাল হচ্ছে। ১৯০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সংরক্ষিত সকল দলিল ধাপে ধাপে স্ক্যান করে অনলাইনে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এখন যে কেউ বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে নিজের দলিল খুঁজে দেখবে, যাচাই করবে এবং প্রয়োজন হলে ডাউনলোডও করতে পারবে। এটি ভূমি মালিকদের জন্য দারুণ সুখবর।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৯০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রার হওয়া সব দলিল একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবে। ইতিমধ্যেই অনেক জেলায় পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে। তবে ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন সময়ের কিছু দলিল অনলাইনে আনা সম্ভব হবে না।

যাদের কাছে এই ধরনের দলিলের কপি আছে, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিয়ে অনলাইনে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনে দলিল ব্যবস্থার অন্যতম লক্ষ্য হলো জমি সংক্রান্ত জালিয়াতি ও দুর্নীতি রোধ করা। আগে অনুপস্থিত মালিকদের জমি জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে যেত। এখন অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে এই ধরনের প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব হবে।

আইনজীবী তৌফিক বলেন, “আগে রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল খোঁজার জন্য ঘুষ দিতে হতো ১,০০০–৫,০০০ টাকা। এখন সরকারি নির্ধারিত ফি মাত্র ২০ টাকা। এই নতুন সিস্টেমে আর এসব হয়রানি থাকবে না।”

ভূমি মালিকদের করণীয়

নতুন অনলাইন সিস্টেম চালু না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

যেসব দলিল অনলাইনে পাওয়া যাবে না, সেগুলি নিজে থেকে জমা দিন।

জাল দলিল অনলাইনে গ্রহণযোগ্য নয়।

সরকারের লক্ষ্য, কোনো নাগরিক যেন দলিল হারানোর কারণে বা প্রতারণার শিকার হয়ে সম্পত্তি হারান না।

দীর্ঘমেয়াদী সুফল

জমি সংক্রান্ত বিরোধ কমবে।

প্রতারণা ও হয়রানি বন্ধ হবে।

প্রবাসীরা সহজে দলিল সংগ্রহ করতে পারবেন।

নাগরিক সেবা আরও দ্রুত ও সহজ হবে।

সার্বিকভাবে, এই ডিজিটাল উদ্যোগ বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং আধুনিকীকরণের এক নতুন যুগের সূচনা করবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট