নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ১৭ জুলাই ২০২৪১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যকে ঘিরে সারাদেশে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে বিক্ষোভ শুরু করে কোতা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলন সংঘর্ষে রূপ নেয় গতকাল সোমবার। তবে আজ সংঘর্ষ ব্যাপক রূপ নিয়েছে। সারাদেশে এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্শে ৪ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় পাকিস্তানের পক্ষে সহায়তাকারী রাজাকার বাহিনী ব্যতীত বাংলাদেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়েছে, বর্তমানের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ঘোষণা করে নতুনভাবে সকলের নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করার নির্দেশনা দেওয়া হোক।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে; আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’
এখানে ‘আমরা’ শব্দটি চার বার ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং তখনকার সকল জনগণই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মর্মে ঘোষণা আবশ্যক এবং নির্দেশনা প্রয়োজন।