কক্সবাজারে পর্যটকের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ ২৩ ডিসেম্বর২০২২।
টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লেগেছে। কক্সবাজার শহরের কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। পর্যটন শহর এখন পর্যটকদের দখলে। ছুটি তিনদিন হলেও পর্যটকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস থাকবে সপ্তাহ জুড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যটকে ঠাসা থাকবে কক্সবাজার। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে। বছরের শেষ সূর্যাস্ত ও নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক জড়ো হন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।
এবছর অন্যান্য বছরের থেকে আরো বেশি পর্যটকের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে বলে হোটেল-মোটেল অফিসার্স ওনার্স অ্যাসোশিসনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ জানান। পর্যটকের ঢল দেখে আনন্দে উদ্বেলিত ব্যবসায়ীরা। খালি নেই হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, রেস্ট হাউস।
সাপ্তাহিক শুক্র, শনিবারের ছুটির সঙ্গে যোগ হয়েছে বড়দিনের ছুটি। সব মিলিয়ে তিনদিনের টানা ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র এখন পরিপূর্ণ। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীরা। পর্যটকের আনাগোনা ও ভিড় ডিসেম্বর মাস জুড়ে থাকবে বলে মনে করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে পর্যটকে ভরে গেছে কক্সবাজার। যানজট আর জনজটে একাকার কক্সবাজার শহর। অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। টানা তিনদিন প্রায় আড়াই লাখ পর্যটকের পদভারে মুখর থাকবে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এমনটা মনে করেন হোটেল ব্যবসায়ী নেতারা।
কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। কক্ষ পেতে ব্যাগপত্র নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় বেশকিছু পর্যটককে। অন্যদিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে, হাজারো পর্যটকের ভিড়। কেউ বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন।
পর্যটকদের চাপ বাড়ায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, পাটোয়ার টেক হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ডুলাহাজারা, টেকনাফের মার্টিনের কূপ ও সোনাদিয়া।
ঢাকার মালিবাগ থেকে আসা পর্যটক কবি ইমরুল হাসান বলেন, নিরিবিলি প্রকৃতির সঙ্গে সময় পার করতে কক্সবাজার চলে এসেছি। রুম পেতে একটু কষ্ট হয়েছে। তবে সমুদ্রস্নান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে সব কষ্ট ভুলে গেছি।
হোটেল দ্য কক্স টুডের ম্যানেজার মনিরুল আলম বলেন, ডিসেম্বরে আমাদের পর্যটক মৌসুম শুরু হলেও প্রথম দিকে পর্যটকের তেমন সাড়া পাইনি আমরা। আজ থেকে যে টানা ছুটি ছিল সেটাতে আমাদের হোটেলে শতভাগ বুকিং হয়েছে। এতে আমরা ক্ষতি পূরণ করতে পারবো। আশা করছি পুরো ডিসেম্বর এ ধারা অব্যাহত থাকবে।