ছাএদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল খালেদা, আমি দিয়েছি খাতা-কলম : প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তাঃ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তিনি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল, আমি তুলে দিয়েছিলাম খাতা-কলম।
আজ মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন ছাত্র সংগঠনটির অভিভাবক।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হচ্ছে এই সম্মেলন। সারা দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। বেলুন ও পায়রাও উড়ান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
উদ্বোধন পর্ব শেষে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৪ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি উক্তির কথাও স্মরণ করেন তিনি।
সে সময় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা আওয়ামী লীগকে দমনে ছাত্রদলই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপি নেত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া হুমকি দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দিতে ছাত্রদলই যথেষ্ট। তারা ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আর আমি বই, খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম।
‘ছাত্ররা শিক্ষা গ্রহণ করবে। দেশের দায়িত্বভার ভবিষ্যতে নেবে। দেশকে নেতৃত্ব দেবে।…তোমরা শুধু নিজেরাই শিক্ষা নেবে না তোমরা যখন বাড়িতে যাবে কেউ যদি নিরক্ষর থাকে তাদের স্বাক্ষর জ্ঞান দেবে।’
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে সাক্ষরতার হার বাড়াতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের এই নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর থেকে নিয়মিত সেই কথাই বলে আসছেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘সে নির্দেশ মেনে ছাত্ররা নিজ এলাকায় গিয়ে শিক্ষাদান করেছিল, তার রিপোর্ট আমার কাছে এসেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরের ঘটনাপ্রবাহও উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপুরীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। ইতিহাস বিকৃতি, জাতির পিতার ভাষণ নিষিদ্ধ, জয় বাংলার স্লোগান নিষিদ্ধ জিয়াউর রহমান করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতা এসেছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ করেছে।
‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর ছিলেন। একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। কোন রির্জাভ ছিল না। ২৭০ টার উপরে সড়ক সেতু বিধ্বস্ত ছিল। ২৭৫টির মতো সড়ক ও রেল শুধু বিধ্বস্ত ছিল। চট্টগ্রাম ও মংলা পোর্ট বিধ্বস্ত ছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করে বঙ্গবন্ধু।’
বিএনপি ২০১৩ থেকে ২০০১৪ সাল পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলনে পেট্রল বোমায় প্রাণহানির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করে তারা তিনি হাজার মানুষ হত্যা করে। বাস, রেল, লঞ্চ কোনো কিছুই রেহাই পায়নি। নির্বাচন ঠেকানোর নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে।’