দোহাজারি… কক্সবাজার… গুমধুম ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের প্রায় ২৭ কিলোমিটার বন কিন্তু বন্যপ্রাণীর জন্য করা হয়নি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
বিশেষ প্রতিবেদন,আদালত বার্তাঃ ১৯অক্টোবর ২০২৪।
দোহাজারি… কক্সবাজার… গুমধুম ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের প্রায় ২৭ কিলোমিটার বন। সবুজ ফেঁড়েফুঁড়ে এখানে বসেছে ইস্পাতের রেল। এই প্রকল্পে এডিবির যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইল্ড লাইফ কনসালট্যান্ট নরিস এল. ডোড এবং একই সংস্থার বাংলাদেশের ন্যাশনাল এনভাইরোনমেন্টাল কনসালট্যান্ট আসিফ ইমরান যৌথভাবে গবেষণা পরিচালনা করেন।
তারা চুনতিতে ১১টি, ফাঁসিয়াখালীতে ৭টি এবং মেধাকচ্ছপিয়াতে ২টি ক্যামেরা বসান। প্রায় সাত মাস ধরে পর্যবেক্ষণে ২১টি স্থানে হাতির চলাচলের পথ খুঁজে পায়। এর মধ্যে ১৩টি স্থান চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে, সাতটি ফাইস্যাখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ও একটি মেধাকচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্কে। সর্বোচ্চ ৪০টি হাতি আছে এখানে। যা আমাদের নিযস্ব ভৌগলিক সীমানায় প্রাকৃতিক বনে বেঁচে থাক একমাত্র হাতির টেরিটোরি। অথচ এই খানে মাত্র একটি হাতির ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও প্রকল্প পরিকল্পনা প্রেজেন্টেশনে রেললাইনের ওপর দিয়ে ওভারপাসের যে ডেমো দেখানে হয়েছে সেটা দেখলে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে। আবার হাতিসহ যেকোনও বন্যপ্রাণী রেল লাইন পারাপরারের সময় সেন্সরের সংকেত পাওয়ার প্রযুক্তি বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যবহার করার কথা। এমনকি নাইট ভিশন ক্যামেরা ট্রেনের মাথায় থাকবে যা ড্রাইভার সাহেব বসে মনিটরে দেখতে পারবেন। এই পথে চলাচলা করা ট্রেনে এইসব যন্ত্রপাতি আজও সংযুক্ত করা হয় নাই। অথচ একটা বনের ভিতর দিয়ে নির্লজ্জের মতো হর্ন বাজাতে বাজাতে….. দমদমাদম…. ঝন…. ঝনা… ঝন….করে রেল গাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ১৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে ২১ টি স্থানে হাতি চলাচলের ২১ কোটি টাকা খরচে কার্পন্য কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে প্রাকৃতিতে বসবাস করা বন্যপ্রাণী তারমধ্যে হাতির অভয় অরণ্য খ্যাত এই স্থানগুলোতে।
(সকালে একটি উদ্ধারকারি রেল ওয়াগন ট্রেন ঘটনাস্থলে আসে। আহত হাতিটিকে তুলে আনার কাজটা সফল ভাবে হই। কিন্তুু আর বাঁচানো গেল না) আরে কত কিছু প্রাণ যে যাবে তা বলাই বাহুল,,
আর চুনতি বনের ভিতর কি গতিতে ট্রেন চলবে তার একটা গাইড লাইন হওয়া জরুরি। রেললাইনের দুই পাশের পর্যাপ্ত সেন্সর, ট্রেন থেকে ক্যামেরা মনিটরিং সুবিধা, আরও ওভারপাস, আন্ডারপাস নির্মাণ না করে এই রুটে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্র অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করাও একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।