বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ৮ জানুয়ারি ২০২৩।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে তাদের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। আর বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। সেই অনুযায়ী আজ (৮ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার ১১ দিন পর গত ১ জানুয়ারি আদেশের কপি পান তাদের আইনজীবীরা। আদেশের কপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।
আইনজীবী আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। তবে আদালতের আদেশের কপি না পাওয়ায় এতদিন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা যায়নি। এরপর ১ জানুয়ারি (রোববার) জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশের কপি পেয়ে ২ জানুয়ারি জামিন আবেদন করা হয়েছিল।’
গত ৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর ডিবির কার্যালয় থেকে ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তাদের আদালতে হাজির করে গত ৭ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন ৪ বার নামঞ্জুর হয়।
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় এই মামলা করা হয়। মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।